প্রতীকী ছবি।
চতুর্থ শ্রেণি পাশ করার পর পড়াশোনা বন্ধ করে দিতে হয় গোলাম গাজি, কালো হালদারের ছেলেমেয়েদের। কারণ, এলাকায় কোনও হাইস্কুল নেই।
ডায়মন্ড হারবার ১ ব্লকের দেওয়ারক পঞ্চায়েতের গ্রামগুলির অধিকাংশ ছেলেমেয়েদেরই এখন মাঝপথে পড়াশোনা বন্ধ করে দিতে হচ্ছে বলে অভিযোগ গ্রমাবাসীদের। তাঁরা জানান, এলাকায় কোনও হাইস্কুল নেই। চতুর্থ শ্রেণির পর পড়ুয়াদের আড়াই থেকে তিন কিলোমিটার দূরে মশাট হাইস্কুল বা উস্তি হাইস্কুলে যেতে হয়। যেখানে নিয়ে গিয়ে পড়ানো আর সম্ভব হচ্ছে না অভিভাবকদের অনেকেরই।
এলাকায় বেশির ভাগ মানুষই কৃষিজীবী। আর না হলে দিনমজুর। তাঁদের পক্ষে টাকা খরচ করে দূরের কোনও স্কুলে গিয়ে পড়ানো সম্ভব নয়। কেউ কেউ পড়াশোনার তাগিদে শিশুদের হাঁটিয়েও নিয়ে যেতেন।
কিন্তু গ্রামবাসীদের কথায়, ‘‘রাস্তা খারাপ হওয়ায় এ ভাবে কচিকাঁচাদের নিয়ে যেতে আর সাহস হয় না।’’
প্রত্যন্ত এলাকার সংগ্রামপুর, উত্তর ও দক্ষিণ দেওয়ারক, তালডাঙা, রাধাবল্লভপুর, কুলেশ্বর-সহ বেশ কিছু গ্রামের রাস্তাঘাটের উন্নয়ন হলেও কিছু রাস্তায় এখনও ইটপাতা রয়েছে।
ডায়মন্ড হারবার ১ ব্লকের উত্তর সার্কেলের স্কুল পরিদর্শক মানস দাস বলেন, ‘‘ওই এলাকায় একটি হাইস্কুলের প্রয়োজন। তা অনুমোদনের জন্য জেলা শিক্ষা দফতরে জানানো হয়েছে।’’
সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, গ্রামের ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার জন্য এক-দেড় কিলোমিটারের মধ্যে হাইস্কুল থাকতে হবে। কিন্তু ডায়মন্ড হারবার ১ ব্লকের দেওয়ারক পঞ্চায়েতে এখনও পর্যন্ত কোনও হাইস্কুলের অনুমোদন মেলেনি।
স্কুলের দাবিতে নানা মহলে জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ।
এই সমস্যার কথা দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীকে জানান ডায়মন্ড হারবারের বিধায়ক দীপক হালদার। দীপকবাবু বলেন, ‘‘ওই বৈঠকেই স্কুল তৈরির জন্য মুখ্যমন্ত্রী শিক্ষা দফতরকে নির্দেশ দিয়েছেন। স্কুল ভবন নির্মাণের জন্য একাধিক জমির খোঁজও পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু সবার যেখানে সুবিধা, এমন জমি নির্বাচন করা হবে।’’
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকার জনসংখ্যা প্রায় ২০ হাজার। এলাকায় ১৩টি সংসদে প্রাথমিক বিদ্যালয় ৭টি ও কয়েকটি শিশু শিক্ষাকেন্দ্র রয়েছে। কিন্তু এ বার একটি হাইস্কুলের প্রতীক্ষায় গ্রামবাসী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy