Advertisement
E-Paper

জয়ী হয়ে হাসছেন জ্যোত্‌স্না, হুমকির নালিশ বিরোধীদের

শাসক দলের বিরুদ্ধে চাপ দিয়ে প্রার্থী পদ প্রত্যাহারের অভিযোগ মহকুমাশাসকের কাছে লিখিত ভাবে জানাল বামেরা। বনগাঁ পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকে দাঁড়িয়ে গতবার জয়ী হয়ে চেয়ারম্যান হন তৃণমূলের জ্যোত্‌স্না আঢ্য। এ বারও ওই ওয়ার্ড থেকেই দাঁড়িয়েছেন তিনি। শনিবার, মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে ওই ওয়ার্ডের বিজেপি ও সিপিআই প্রার্থীরা মনোনয়ন তুলে নেওয়ায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন জ্যোত্‌স্নাদেবী।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০১৫ ০১:১৩
জয়ের আনন্দে। —নিজস্ব চিত্র।

জয়ের আনন্দে। —নিজস্ব চিত্র।

শাসক দলের বিরুদ্ধে চাপ দিয়ে প্রার্থী পদ প্রত্যাহারের অভিযোগ মহকুমাশাসকের কাছে লিখিত ভাবে জানাল বামেরা।

বনগাঁ পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকে দাঁড়িয়ে গতবার জয়ী হয়ে চেয়ারম্যান হন তৃণমূলের জ্যোত্‌স্না আঢ্য। এ বারও ওই ওয়ার্ড থেকেই দাঁড়িয়েছেন তিনি। শনিবার, মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে ওই ওয়ার্ডের বিজেপি ও সিপিআই প্রার্থীরা মনোনয়ন তুলে নেওয়ায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন জ্যোত্‌স্নাদেবী। ওয়ার্ডটিতে এ বার কংগ্রেস কোনও প্রার্থীই দিতে পারেনি। বিজেপির মীরা দে ও সিপিআইয়ের টিঙ্কু ঘোষ মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন। বিজেপি ও বামদের অভিযোগ, তৃণমূলের চাপেই তাদের প্রার্থীরা মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হয়েছেন। বামেদের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগও দায়ের হয়েছে।

যদিও মহকুমাশাসক সুদীপ মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “বিজেপি ও সিপিআই প্রার্থীরা নিজেরা এসে তাঁদের মনোনয়ন তুলে নিয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য ভিডিওগ্রাফিও করা হয়েছে। ওঁরা ব্যক্তিগত ভাবে কেউ অভিযোগ করেননি যে তাঁদের চাপ দিয়ে বা ভয় দেখিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে বাধ্য করা হয়েছে।”

মীরাদেবী বা টিঙ্কুদেবীরা কেউই ওই ওয়ার্ডের বাসিন্দা নন। তাঁদের অন্য ওয়ার্ড থেকে নিয়ে গিয়ে প্রার্থী করা হয়েছিল। বিজেপির উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব হালদার বলেন, “১৭ নম্বর ওয়ার্ডে ভাল প্রার্থী পাওয়া যায়নি বলেই অন্য ওয়ার্ড থেকে এনে ভাল প্রার্থী দেওয়া হয়েছিল। প্রার্থীকে চাপ দেওয়া হয়েছিল তৃণমূলের পক্ষ থেকে। প্রার্থী আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন। ভোট পরবর্তী সময়ে তাঁকে রক্ষা করতে দল পারবে না, সেই আশঙ্কাও ছিল প্রার্থীর।”

অন্য দিকে, বনগাঁর সিপিআই নেতা শ্যামল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বৃহস্পতিবার থেকে প্রার্থীর পরিবারের উপরে তৃণমূলের পক্ষ থেকে চাপ সৃষ্টি করা হয়। আমরা শুক্রবার সকালে প্রার্থীকে অন্যত্র নিয়ে গিয়েছিলাম। সেখানে তৃণমূলের লোকেরা প্রার্থীর আত্মীয়দের নিয়ে গিয়ে তাঁকে ভয় দেখিয়ে জোর করে তুলে এনে মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে বাধ্য করেছে।

শাসক দল অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। বনগাঁ শহর তৃণমূল সভাপতি শঙ্কর আঢ্য বলেন, “ওয়ার্ডের উন্নয়ন দেখে এবং নিশ্চিত হার বুঝে বিরোধী প্রার্থীরা মনোনয়ন তুলে নিয়েছেন স্বেচ্ছায়। তাঁদের কেউ চাপ দেয়নি। ওরা তো ওয়ার্ড থেকেই কাউকে প্রার্থী করতে পারেনি।” জেলা তৃণমূল সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, “এর থেকে প্রমাণ হল, বিরোধীদের জেলাতে নিচু স্তরে কোনও সংগঠন নেই। লোকসভার উপ নির্বাচনের পরে এ বার পুর ভোটেও তা প্রমাণ হল।”

তবে ওয়ার্ডের বহু মানুষ হতাশ, ভোট দিতে না পারার জন্য। অনেকের কথায়, “গণতন্ত্রের পক্ষে বিষয়টা ভাল হল না।”

southbengal municipal vote bangaon tmc Trinamool municipal election
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy