এই বাড়িতেই ছিঁড়ে পড়েছে বিদ্যুতের তার।ছবি: সজলকুমার চট্টোপাধ্যায়
বাড়ির টিনের ছাউনির উপরে ছিঁড়ে পড়েছিল হাইটেনশন বিদ্যুতের তার। তারপরেই আগুনের স্ফুলিঙ্গ ছড়িয়ে জ্বলতে থাকে গোটা বাড়ি। তার জেরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় ঘরের মধ্যে থাকা সাত বছরের শিশু-সহ দুই মহিলা।
মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দেগঙ্গার হাদিপুর হাতিপাড়ায়। টুকরো টুকরো তার জোড়া দিয়ে লাগানো হয়েছিল বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ। তার জেরেই এই বিপত্তি বলে মত স্থানীয় মানুষের। বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা ওই তার জুড়তে এলে বাধা দেন গ্রামবাসী। তাঁদের দাবি, হয় বাড়ির উপর দিয়ে যাওয়া বিদ্যুতের তার সরিয়ে নিতে হবে, না হলে মোটা তার (কেব্ল) লাগাতে হবে। এ দিকে, এই ঘটনার জেরে দেগঙ্গার বেশ কিছু গ্রাম-সহ হাড়োয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা দীর্ঘক্ষণ বিদ্যুৎ সংযোগহীন ছিল। বিদ্যুৎ সংযোগ স্বাভাবিক হলে এলাকাবাসী দেখেন গ্রামের বেশ কিছু বাড়িতে, টিভি, ফ্রিজ, ইনভার্টার ও বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম পুড়ে নষ্ট হয়ে গিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হাদিপুর হাতিপাড়ার বেশ কয়েকটি বাড়ির উপর দিয়ে গিয়েছে হাইটেনশন বিদ্যুতের তার। রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ আচমকায় একটি তার আমিরুল ইসলামের ইটের দেওয়ালযুক্ত টিনের ছাউনির উপরে ছিঁড়ে পড়ে। সেই ঘরে মধ্যে ছিলেন মনোয়ারা বিবি ও তাঁর বৌমা পিঙ্কি পারভিন ও সাত বছরের নাতি ইমরান তাহিদ।
প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুল হাসিম, আব্বাসউদ্দিনরা জানান, মাটির উপরে জমা বৃষ্টির জলে ছিঁড়ে পড়া তার থেকে ফের আগুনের স্ফুলিঙ্গ ছড়াতে দেখে আতঙ্ক ছড়ায়।
মনোয়ারা বিবি বলেন, নাতি, বৌমাকে নিয়ে বাড়ি বাইরে পালিয়ে আসতে গিয়ে গেটের গ্রিলে হাত দিতেই আমরা বিদ্যুৎ পৃষ্ট হয়ে মাটি পড়ে যাই। তারপর আর কিছুই মনে নেই। রাতেই স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে তাঁদের চিকিৎসা হয়।
বেড়াচাঁপা বিদ্যুৎ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই গ্রামের বিদ্যুতের তার পাল্টানোর কথা থাকলেও বৃষ্টির জন্য তা সম্ভব হয়নি। তবে বর্ষার পরে সমস্যার সমাধান করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy