গড়িয়ায় তৃণমূল কাউন্সিলরের দফতরে ভাঙচুর। ওই কার্যালয়ের সামনে আচমকা কয়েক জন দুষ্কৃতী হামলা করে বলে অভিযোগ। চেয়ার, টেবিল ভাঙচুর করা হয়েছে। মারধর করা হয়েছে তৃণমূল কর্মীদের। মার খেয়ে তিন জন হাসপাতালে ভর্তি। এমনকি, কার্যালয়ে আসা মহিলাদেরও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। গড়িয়ার রাজপুর সোনারপুর পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পিন্টু দেবনাথ। এ বিষয়ে তৃণমূলেরই অন্য এক গোষ্ঠীর দিকে আঙুল তুলেছেন তিনি।
কাউন্সিলরের দফতর গড়িয়া স্টেশনের কাছে ট্যাক্সি স্ট্যান্ডে। প্রতি দিনই নানা প্রয়োজনে সেখানে লোকজন ভিড় করেন। শনিবার যে সময়ে এই ঘটনাটি ঘটে, তখন কার্যালয়ে কাউন্সিলর ছিলেন না। তবে এলাকার অনেকেই ছিলেন। অভিযোগ, বাঁশ, লাঠি নিয়ে কার্যালয়ে ঢোকে দুষ্কৃতীরা। ভাঙচুরের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ। কে বা কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন:
এ প্রসঙ্গে কাউন্সিলর বলেন, ‘‘আমাদের ১ নম্বর ওয়ার্ডে জলপোল নামের একটি বস্তি আছে। নানা ধরনের বেআইনি কার্যকলাপ চলে সেখানে। একটা গোষ্ঠী এটা চালায়। তাদের বাধা দিয়ে আর একটি গোষ্ঠী তাদের শত্রু হয়ে গিয়েছে। বেআইনি কার্যকলাপ যারা করে, তারা শনিবার দুপুরে আমাদের দলীয় কার্যালয়ে এসে আক্রমণ চালায়। আমাদের তিন জন কর্মীকে মারধর করা হয়েছে। বাপি হাজরা, রাজ এবং প্রতাপ মিশ্র হাসপাতালে ভর্তি। তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আমি নিজে দফতরে ছিলাম না। ওরা দফতরের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকে এবং ভাঙচুর করে। আমি থাকলে আমাকেও মারধর করা হত। ২০ থেকে ২৫ জন দল বেঁধে এসেছিল। কারা ছিল, আমি জানি না। এখনও পর্যন্ত এক জনের নাম পেয়েছি— অমিত হালদার। সিসিটিভি ফুটেজে বাকিদেরও দেখা যাবে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।’’
আক্রমণকারীদের রাজনৈতিক পরিচয় সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে কাউন্সিলর বলেন, ‘‘এরা এক সময়ে বিজেপি করত। পরে তৃণমূলে যোগ দেয়। কিন্তু বেআইনি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত জানতে পেরে আমরা ওদের অফিস থেকে বার করে দিয়েছিলাম। ওদের নিয়ে দলীয় নেতৃত্বও উদ্বিগ্ন।’’
আক্রান্ত এক মহিলা বলেন, ‘‘কারা এসেছিল, নাম জানি না। কার সঙ্গে কার ঝামেলা, জানি না। ওরা কর্মীদের মারতে এসেছিল। আমরা বলেছি, মারতে দেব না। তাতে আমাদেরও মারধর করে। আমরা অত্যন্ত আতঙ্কিত।’’ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় যথেষ্ট উত্তেজনা রয়েছে।