Advertisement
E-Paper

বোর্ড গঠনের আগে তৃণমূলের গোষ্ঠীবিবাদ, জখম ৫, গ্রেফতার ৬

বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ক্যানিংয়ের নিকারিঘাটা এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বাড়ি ক্যানিং এলাকায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শেষ আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০২:২৪
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সামনে পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন। কারা বোর্ড গড়বে, তা নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে গুরুতর জখম হলেন ৫ জন। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ক্যানিংয়ের নিকারিঘাটা এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বাড়ি ক্যানিং এলাকায়।

পুলিশ সূত্রের খবর, বেশ কিছুদিন ধরে ক্যানিং ১ ব্লক এলাকায় কয়েকটি পঞ্চায়েতের বোর্ড নিয়ে গন্ডগোল হচ্ছে তৃণমূল ও যুব তৃণমূল সমর্থিত নির্দলদের মধ্যে। ক্যানিং ১ ব্লকের নিকারিঘাটা পঞ্চায়েতের ২১টি আসনের মধ্যে তৃণমূল পায় ১১টি, নির্দল ৭টি, এসইউসিআই ১, বিজেপি ২টি করে।

ওই পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের আগে বিজেপির, এসইউসিআইয়ের ৩ জন সদস্য ও তৃণমূলের ১ জন সদস্য নির্দলের দিকে চলে আসেন। ফলে পাল্লা ভারী থাকে নির্দলের। অভিযোগ, এর আগে ক্যানিংয়ের গোপালপুর পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের ক্ষেত্রে নির্দলের দিকে পাল্লা ভারী থাকলেও তৃণমূলের এক সদস্যকে অপহরণ করা হয়।

এই নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে গন্ডগোল হয়। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। এলাকা দখল ও পঞ্চায়েত দখল করতে গত কয়েকদিন ধরে ক্যানিংয়ের সাতমুখো, নিকারিঘাটা-সহ আশপাশের এলাকায় তৃণমূল ও যুব তৃণমূল সমর্থিত নির্দলদের মধ্যে গন্ডগোল শুরু হয়।

অভিযোগ, এ দিন রাতে যুব তৃণমূলের সমর্থকরা ক্যানিংয়ের নিকারিঘাটা এলাকায় বোমা-গুলি চালায়। তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য রিনা নস্করের বাড়িতে বোমা মারা হয়। বোমার আঘাতে রিনা, সুবিন্দু সর্দার জখম হন।

গৌতম নস্কর, গৌরাঙ্গ মণ্ডলের বাড়িতে ঢুকে মারধর করে তাঁদের বাইক ভাঙচুর করা হয়। বেশ কিছু বাড়িতে ভাঙচুর করা হয় বলেও অভিযোগ। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাদের হটিয়ে দেয়। পরে এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ ৬ জন যুব তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করে।ক্যানিং ১ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি শৈবাল লাহিড়ী বলেন, ‘‘আমাদের দলের যুবনেতা পরেশরাম দাস, উত্তম দাসরা নির্দলদের মদত দিচ্ছে। তাদের নেতৃত্বে শান্ত এলাকা অশান্ত হচ্ছে। বোমা-বন্দুক নিয়ে এলাকায় সন্ত্রাস সৃষ্টি করছে। পুলিশ তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের গ্রেফতার করুক।’’

অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে ক্যানিং ১ ব্লক যুব তৃণমূলের সভাপতি পরেশরাম দাস বলেন, ‘‘ওরা মিথ্যা অভিযোগ করছে। এলাকায় গন্ডগোলের মদত দিচ্ছেন ব্লক সভাপতি শৈবাল লাহিড়ী। তার নেতৃত্বে আমাদের সদস্যদের অপহরণ করা হচ্ছে। পুলিশকে জানানো সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। আমাদের পঞ্চায়েত সদস্য তাপসী সাঁপুইয়ের বাড়িতে ঢুকে ওরাই মারধর করল। এখন উল্টে ওরা আমাদের নামে দোষারোপ করছে।’’

Canning Panchayat ক্যানিং
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy