—প্রতীকী চিত্র।
সুন্দরবনের ঝড়খালিতে স্কুলে ঢুকে মহিলাদের উপর হামলার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের পঞ্চায়েত উপপ্রধানের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, শতাধিক লোক নিয়ে আচমকা স্কুলে চড়াও হন ওই উপপ্রধান। তাঁর নেতৃত্বেই স্কুলে চলে ভাঙচুর। সিসি ক্যামেরাও ভেঙে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। সোমবার রাতে এসপি অফিসে গিয়ে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন নির্যাতিতারা।
সুন্দরবনের ঝড়খালি গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত পার্বতীপুরের ঘটনা। একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সেখানে স্কুল চালায়। অভিযোগ, স্কুলের ভবনটি দখল করতে চায় স্থানীয় পঞ্চায়েত। সেই কারণেই এই হামলা। নির্যাতিতা এক মহিলা বলেছেন, ‘‘আমাদের এই স্কুলের জন্য পঞ্চায়েত থেকে জমি দিয়েছিল। অনুদানের টাকা দিয়ে আমরা ভবনটির সংস্কার করি। এ বার ওরা এই ভবন দখল করে নিতে চায়। রাতে প্রায় একশো-দেড়শো জন লোক নিয়ে এসেছিলেন দিলীপ মণ্ডলেরা। তিনি পঞ্চায়েতের উপপ্রধান। স্কুলে ঢুকে ভাঙচুর শুরু করেন। আমাকে সিঁড়ি থেকে ধাক্কা মেরে ফেলা দেওয়া হয়েছে। জামাকাপড় ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে। আমার শ্লীলতাহানি করা হয়েছে।’’
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্ণধার তথা নির্যাতিতা আর এক মহিলা জানিয়েছেন, তাঁদের স্কুলে যাতে পড়ুয়ারা না আসে, তা নিশ্চিত করতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে পঞ্চায়েতের লোকজন হুমকিও দিয়ে এসেছেন। অভিভাবকেরা তাই স্কুলে সন্তানদের পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন।
উপপ্রধান দিলীপ অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি পাল্টা ওই সংগঠনের বিরুদ্ধে স্কুলের নামে অনাচারের অভিযোগ তুলেছেন। তাঁর দাবি, ওই স্কুল থেকে নানা সম্পত্তি বিদেশে পাচার করা হত। ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হত। তাই এলাকার বাসিন্দারাও সংগঠনের উপর ক্ষুব্ধ। দিলীপ বলেন, ‘‘ওই স্কুলে বাচ্চাদের প্রতি কুৎসিত ভাষা ব্যবহার করা হত। তাদের নিম্নমানের খাবার দেওয়া হত। এলাকার শিক্ষিত তরুণ প্রজন্মকে কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তা পূরণ করা হয়নি।। পুরোটাই আসলে ভাঁওতাবাজি। শুধু তা-ই নয়, এখানকার সম্পত্তি বিদেশে পাচার করা হয়।’’ দিলীপ জানান, সংগঠনের বিরুদ্ধে ক্ষোভের কারণে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy