স্বর্ণব্যবসায়ীকে খুনের ঘটনায় বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা সজল সরকারের জামিনের আবেদন মঙ্গলবার খারিজ হল বারাসত আদালতে। গত ১৩ নভেম্বর গ্রেফতার হয়েছিলেন কোচবিহার-২ ব্লকের তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি সজল। সরকারি আইনজীবী সওয়াল করে জানিয়েছেন, সজলের বিরুদ্ধে আগেও মামলা ছিল। সেই নথি আদালতে জমা করা হয়েছে। তা ছাড়া তাঁর অপরাধস্থলে থাকার প্রমাণও আদালতে পেশ করা হয়েছে। তার পরেই বিচারক সজলের জামিনের আর্জি খারিজ করে দেন।
সরকারি আইনজীবী আদালত চত্বরে অভিযোগ করে জানান, রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মণ অন্তর্বর্তী জামিন পাওয়ার পরে নিহতের স্ত্রীকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য লাগাতার চাপ দেওয়া হচ্ছে। তিনি এখন ওড়িশায় রয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গে যাতে তিনি না ফেরেন, সে জন্যও হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি সরকারি আইনজীবীর। কেন সজলকে জামিন দেওয়া উচিত নয়, আদালতে সেই নিয়েও সওয়াল করেছেন সরকারি আইনজীবী। তিনি বলেন, ‘‘আমরা আদালতে প্রমাণ দেখিয়েছি, নিউ টাউন-সহ অপরাধের বিভিন্ন জায়গায় রয়েছেন সজল। সেই ভিডিয়ো দিয়েছি আদালতে। একজন আসামি নিজেই ভিডিয়ো তুলেছেন।’’
স্বর্ণব্যবসায়ী স্বপনের খুনে নাম জড়ানোর আগেও দলবিরোধী কাজ করার অভিযোগ উঠেছিল সজলের বিরুদ্ধে। তৃণমূল সূত্রে খবর, তাঁকে শো কজ় করা হয়েছিল। কিন্তু চিঠির জবাব দেননি তিনি। স্বর্ণব্যবসায়ীর খুনের ঘটনার পরে তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।
আরও পড়ুন:
গত ২৯ অক্টোবর নিউ টাউনের যাত্রাগাছিতে স্বর্ণব্যবসায়ী স্বপন কামিল্যার দেহ উদ্ধার হয়েছিল। তাঁর পরিবারের তরফে অপহরণ, খুন-সহ একাধিক অভিযোগ দায়ের করা হয়। নাম জড়ায় জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্তের। যদিও অভিযোগ খারিজ করেন তিনি।
এই ঘটনায় পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। প্রথমেই রাজু ঢালি এবং তুফান থাপা নামে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁরা জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্তের পরিচিত বলে জানা যায়। তদন্তকারীদের দাবি, ওই মামলার তদন্তে বেশ কয়েকটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। সেই ভিডিয়োয় অভিযুক্তদের দেখা গিয়েছে। তার পরে বিবেকানন্দ সরকার ওরফে সোনাই নামে একজনের সঙ্গে পাকড়াও হন কোচবিহারের ওই তৃণমূল নেতা।