Advertisement
E-Paper

পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ তৃণমূলের

সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে প্রায় দু’ঘণ্টা ক্যানিং থানা ঘেরাও করে তাঁরা বিক্ষোভ দেখান। ক্যানিং-বারুইপুর রোড অবরোধও করা হয়। দীর্ঘক্ষণ রাস্তা অবরোধের ফলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে ক্যানিং আসেন বারুইপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইন্দ্রজিৎ বসু।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ জুন ২০১৯ ০১:৪০
বিক্ষোভ: রাস্তা অবরোধ। ডান দিকে, থানা ঘেরাও। ক্যানিংয়ে। নিজস্ব চিত্র

বিক্ষোভ: রাস্তা অবরোধ। ডান দিকে, থানা ঘেরাও। ক্যানিংয়ে। নিজস্ব চিত্র

দলীয় কর্মীকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগে থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাল তৃণমূল।

সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে প্রায় দু’ঘণ্টা ক্যানিং থানা ঘেরাও করে তাঁরা বিক্ষোভ দেখান। ক্যানিং-বারুইপুর রোড অবরোধও করা হয়। দীর্ঘক্ষণ রাস্তা অবরোধের ফলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে ক্যানিং আসেন বারুইপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইন্দ্রজিৎ বসু। তিনি সকলের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি সামাল দেন।

এই ঘটনায় তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীরা। আরএসপির প্রাক্তন সেচমন্ত্রী সুভাষ নস্কর বলেন, ‘‘পুলিশ এত দিন ওদের দাস হয়ে কাজ করত। এখন স্বার্থে ঘা লাগছে, তাই নিজেদের পুলিশের উপরে আস্থা রাখতে না পেরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে।’’

এ দিন ক্যানিং ১ ব্লক যুব তৃণমূলের সভাপতি পরেশরাম দাস ও মাতলা ২ পঞ্চায়েতের প্রধান উত্তম দাসের নেতৃত্বে ওই কর্মসূচি পালন করা হয়। তৃণমূলের দাবি, ইটখোলা অঞ্চলের যুব তৃণমূলের সভাপতি ইন্দ্রজিৎ সর্দারকে অন্যায় ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরও অভিযোগ, ইন্দ্রজিৎকে ভয় দেখিয়ে তাঁর থেকে দেড় লক্ষ টাকা নিয়েছেন ক্যানিং থানার আইসি। তৃণমূলের অভিযোগ, তাঁর কাছ থেকে আরও টাকা চাওয়া হয়েছিল। সেই টাকা না দেওয়ায় তাঁকে অন্যায় ভাবে মাদক আইনে অভিযুক্ত করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, থানা এলাকার সাধারণ মানুষকে নানা ভাবে হয়রান করা হচ্ছে, টাকা আদায় করছে পুলিশ— এমনও অভিযোগ তুলেছেন বিক্ষোভকারীরা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর অক্টোবর মাসে ইটখোলা অঞ্চলে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে গুলিতে প্রাণ হারান মিজানুর রহমান সর্দার। ওই খুনের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত ছিলেন ইন্দ্রজিৎ।

এ ছাড়াও তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশের উপরে আক্রমণ, পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর, এলাকায় মারামারি-সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে। ক্যানিংয়ের একটি মারামারির ঘটনায় অভিযুক্ত থাকায় রবিবার রাতে ইন্দ্রজিৎকে গ্রেফতার করে ক্যানিং থানার পুলিশ। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইন্দ্রজিৎ বসু বলেন, ‘‘কাউকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হবে না। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেই মতো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

Canning Police TMC
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy