অফিসে থাকবে ‘সোয়াইপ মেশিন।’ সেখানে এটিএম কার্ড পাঞ্চ করে দেওয়া যাবে গাড়ির জরিমানা থেকে শুরু করে রোড ট্যাক্স, ডাইভিং লাইসেন্সের জন্য কর। এ বার থেকে এ ভাবে লেনদেন চালু হচ্ছে উত্তর ২৪ পরগনা পরিবহণ দফতরের অফিসে। কার্ডের মাধ্যমে কর নেওয়ার ভাবনা রাজ্যে এই প্রথম। তবে কলকাতায় তিনটি পরিবহণ দফতরেও সোয়াইপ মেশিনে লেনদেনের ভাবনা আছে বলে জানান কর্তারা।
উত্তর ২৪ পরগনার আঞ্চলিক পরিবহণ অধিকর্তা সিদ্ধার্থ রায় বলেন, ‘‘রাজস্ব আদায় ঠিকঠাক রাখতে আর নগদের সমস্যা এড়াতেই এই ব্যবস্থা।’’ পাশাপাশি, নগদে লেনদেনের জন্যও আপাতত কাউন্টার রাখা থাকবে।
গত নভেম্বরে ৫০০-১০০০ টাকার নোট বাতিল হলেও সরকারি বিধিতেই পরিবহণ দফতরে প্রথমে পুরনো নোট নেওয়া হচ্ছিল। উত্তর ২৪ পরগনা পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর, এমনিতে জরিমানা, কর— মিলিয়ে দফতরে প্রতি দিন গড়ে ৬০ থেকে ৬৫ হাজার টাকা জমা পড়ত। পুরনো নোট নেওয়া হচ্ছে শুনে জরিমানা-কর দেওয়ার ধুম পড়ে। এক-এক দিনে ২ কোটির বেশি জমা পড়ে কার্যত বাতিল নোটে। তার মাঝে ১০০ বা ৫০ টাকার নোট প্রায় না থাকায় কাজকর্ম শিকেয় ওঠে দফতরে। তখন নির্দেশ জারি হয়, পুরনো নোট দিলে সঙ্গে নতুন ২০০০ বা ১০০ টাকার নোটও দিতে হবে। এক ধাক্কায় দিনের আয়ের অঙ্ক নেমে আসে ১৭ লক্ষে।
প্রতি দিন হাজার হাজার মানুষকে পরিবহণ সংক্রান্ত পরিষেবা নিতে আসতে হয় এই দফতরে। গাড়ির ‘ব্লু বুক’ তৈরি, নতুন বাস বা অটো চালানোর জন্য ‘রোড ট্যাক্স’ও অনেকে অফিসে জমা দেন। ইদানীং ‘ই-রিকশা’র রেজিস্ট্রেশন ও চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া শুরু হয়েছে এই দফতর থেকে। জমা পড়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স, জরিমানার টাকাও। পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর, পরিস্থিতির সুযোগে দালাল চক্র ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট এখানে চালাচ্ছিল। বিষয়টি আঁচ করে রাশ টেনে ধরতেই উল্টো পরিস্থিতিতে রাজস্ব কম আদায় হতে থাকে।
সিদ্ধার্থবাবু আরও বলেন, ‘‘পুরনো নোট, নতুন নোটে খুচরোর সমস্যা এড়াতেই অনলাইন ও সোয়াইপ মেশিনের ব্যবস্থা হচ্ছে। এতে রাজস্ব আদায় যেমন ঠিক থাকবে, তেমন সাধারণেরও সুবিধা হবে।’’ কয়েক দিনেই মিলবে এই পরিষেবা। এই ব্যবস্থা চালু হলে দালালদের বাড়তি টাকা নেওয়ার সুযোগও থাকবে না বলে ওই দফতর সূত্রে খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy