Advertisement
E-Paper

বিহারে নিয়ে গিয়ে অশ্লীল নাচ, ধৃত ২

পুলিশ জানিয়েছে, পবনকুমার মাঝি ও প্রদীপ কুমার নামে ওই দু’জনকে হাবড়া স্টেশন মোড় এলাকা থেকে ধরা হয়। তাদের বাড়ি বিহারে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০১:৫৫
ধৃত: পুলিশের জালে। নিজস্ব চিত্র

ধৃত: পুলিশের জালে। নিজস্ব চিত্র

মহিলা ও কিশোরীদের প্রলোভন দেখিয়ে বিহারে নিয়ে গিয়ে জোর করে অশ্লীল নাচ করানোর একটি চক্রের হদিস পেল হাবড়া থানার পুলিশ। শনিবার সকালে পুলিশ ওই চক্রের পান্ডা-সহ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে।

পুলিশ জানিয়েছে, পবনকুমার মাঝি ও প্রদীপ কুমার নামে ওই দু’জনকে হাবড়া স্টেশন মোড় এলাকা থেকে ধরা হয়। তাদের বাড়ি বিহারে। ধৃতদের শনিবার বারাসত জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক পবনকে পুলিশি হেফাজতে এবং প্রদীপকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মার্চ মাসে হাবড়ার বাসিন্দা ষোলো বছরের এক কিশোরী নিখোঁজ হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, মেয়েটিকে বিহারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই কিশোরী নাচ করতে ভালবাসে। নৈহাটিতে তার আত্মীয়ের বাড়ি রয়েছে। সেখানেই পবনের সঙ্গে পরিচয়। ফোনে কথাবার্তা হত। পবন কিশোরীকে বিহারে নাচের ভাল সুযোগ করে দেবে বলে টোপ দেয়। তাকে সঙ্গে করে নিয়েও যায়।

এক তদন্তকারী অফিসার বলেন, ‘‘শনিবার পবন ও তার সাগরেদ প্রদীপ ফের হাবড়ায় এসেছিল নতুন কোনও মেয়েটকে খুঁজতে। তখনই তাদের ধরা হয়। ওই মেয়েটি বিহারে রয়েছে। তাকে উদ্ধার করা হবে।’’

বহু দিন দিন ধরেই উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকা থেকে দরিদ্র পরিবারের মেয়ে-বৌদের প্রলোভন দেখিয়ে বিহারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে খবর আসছে পুলিশের কাছে। অতীতে পুলিশ বিহার থেকে মহিলাদের উদ্ধারও করে এনেছে। চক্রের সঙ্গে যুক্ত সদস্যদের গ্রেফতার করেছে। অনেক ক্ষেত্রে আবার এমনও দেখা যায়, বিহারে গিয়ে কেউ কেউ আর ফিরে আসে না। গাইঘাটা ও গোপালনগর থানার পুলিশ আগে ওই চক্রের সন্ধান পেয়েছিল। কয়েক জন গ্রেফতার হয়। গোপালনগর থানার পুলিশ দুই মহিলাকে বিহার থেকে উদ্ধার করে এনেছিল।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গোপালনগরের দুই মহিলাকে বিহারে লোকের বাড়িতে ভাল বেতনের কাজের প্রলোভন দেখিয়ে এক মহিলা নিয়ে যায়। বিহারে যাওয়ার পরে ওই মহিলারা বুঝতে পারেন, তাঁরা ভুল জায়গায় এসে পড়েছেন। তাঁদের নাচের দলে অশ্লীল নাচ করানোর জন্য চাপ দেওয়া হতে থাকে। প্রথমে তাঁরা ওই কাজ করতে অস্বীকার করেন। শুরু হয় নির্যাতন। ঠিক মতো খেতে দেওয়া হত না। উদ্ধার হওয়া মহিলারা পুলিশকে জানিয়েছিলেন, তাঁদের একবেলা খেতে দেওয়া হত। নাচ করতে না চাইলে ঘরে আটকে রাখা হত।

পবনকে জেরা করে পুলিশ চক্রের বাকিদের খোঁজ করছে।

Crime Arrest Vulgar Dance
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy