সইফুদ্দিন ও রেহানা
শোওয়ার ঘরে এক দম্পতির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল বাগদার জিয়ালা গ্রামে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার সকালে।
সকালে ডাকাডাকি করতেও ছেলে ঘরের দরজা খুলছে না দেখে জানলা দিয়ে উঁকি মারেন মা। দেখেন, কাপড় দিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছে ছেলে-বৌমার দেহ। তিনি পড়শিদের ডেকে আনেন। তাঁরাই পুলিশে খবর দেন। পুলিশ দেহ দু’টি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত দম্পতির নাম সইফুদ্দিন মণ্ডল (২৫) ও রেহানা মণ্ডল (১৯)। জিয়ালা গ্রামের ওই বাড়িতে বাবা কাদের মণ্ডল ও মা জয়নাব মণ্ডলের সঙ্গে থাকতেন সইফুদ্দিন। রেহানার বাপের বাড়ি বাগদার কুলনন্দপুর গ্রামে। মাস দু’য়েক আগে তাঁদের বিয়ে হয়। সইফুদ্দিন পেশায় গাড়িচালক। সইফুদ্দিনের পাশের বাড়ির বাসিন্দা সুচিত্রা মণ্ডল বলেন, ‘‘সকাল সাতটা নাগাদ চিৎকার শুনে ঘুম ভেঙে যায়। বাইরে এসে জানতে পারি, সইফুদ্দিন ও তার বউ গলায় দড়ি দিয়েছে।’’ পাড়া-পড়শিরা জানাচ্ছেন, সইফুদ্দিন খুবই নম্র স্বভাবের ছেলে। সম্প্রতি গাড়ি কিনেছিল। ওই গাড়ি কেনা নিয়ে বাড়িতে অশান্তি হয়।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে কুলনন্দপুর গ্রাম থেকে রেহানার বাবা ও কাকা আসেন। রেহানার কাকা মগরব বিশ্বাস বলেন, ‘‘বিয়ের পর থেকেই ভাইঝির কাছে বাপের বাড়ি থেকে টাকা-পয়সা আনার জন্য চাপ দেওয়া হত। ৩ লক্ষ টাকা, ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন, আলমারি এনে দিতে বলা হয়েছিল রেহানাকে।’’ বাগদা থানায় দাঁড়িয়ে রেহানার বাবা শহিদুল বলেন, ‘‘শনিবার মেয়ে-জামাই আমার বাড়িতেই ছিল। রবিবার সকালে জামাই চলে যায়। ওই দিন বিকেল সাড়ে ৩টে নাগাদ আমি এসে মেয়েকে শ্বশুরবাড়িতে রেখে যাই। হঠাৎ শুনলাম মেয়ে-জামাই গলায় দড়ি দিয়েছে। আমার মনে হয়, মেয়ে-জামাইকে মেরে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।’’
পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে ঘটনাটি আত্মহত্যা বলেই মনে হচ্ছে তাদের। দু’টি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy