তুলে দেওয়া হচ্ছে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড। নিজস্ব চিত্র।
স্বামীকে বাঁচানোর আর্জি নিয়ে বুধবার সটান বিডিওর ঘরে ঢুকে দরবার করলেন এক মহিলা। তাঁর আর্তি শুনে বৃহস্পতিবারই তাঁর স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের ব্যবস্থা করে দিলেন দেগঙ্গার বিডিও সুব্রত মল্লিক। ব্লক ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন পনেরো আগে দেগঙ্গার নুরনগর পঞ্চায়েতের গাম্ভিরগাছির বাসিন্দা, পেশায় চাষি, বছর চল্লিশের ফারুক হোসেনের কিডনির সমস্যা দেখা দেয়। বর্তমানে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছে। ফারুকের ভাই ফিরোজ হোসেন বলেন, “চিকিৎসক জানিয়েছেন, এখনই দাদার ডায়ালিসিস শুরু করতে হবে। তার জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন।” ফারুকের স্ত্রী সাবিনা বিবি বলেন, “তিন ছেলেমেয়েই ছোট। সংসারের রোজগেরে বলতে একমাত্র স্বামী। তাঁকে কঠিন রোগে ধরেছে। চিকিৎসার টাকা কোথা থেকে আসবে তা ভেবে পাচ্ছিলাম না।” এরপরই বুধবার বিডিও ঘরে গিয়ে আর্তি জানান সাবিনা। সাবিনার কথায়, “এখন দুয়ারে সরকার চলছে। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডও দেওয়া হচ্ছে। সভাপতি এবং বিডিওর কাছে গিয়েছিলাম স্বামীর চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের ব্যবস্থা করতে। মাত্র এক দিনের মধ্যে তাঁরা ওই কার্ডের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।” দেগঙ্গা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মিন্টু সাহাজি বলেন, “আমাদের কাছে এসে ওই মহিলা তাঁর স্বামীর অসুস্থতার কথা জানান। সব শুনে দ্রুত স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের ব্যাবস্থা করে দেওয়া হয়েছে।” দেগঙ্গার বিডিও সুব্রত মল্লিক বলেন, “অসহায় পরিবারটির পাশে দাঁড়াতে পেরে আমরা খুশি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy