E-Paper

কাকদ্বীপের নদীর চরে তিমি, ফেরালেন গ্রামবাসীরা

দু’দিনই গ্রামবাসীরা তিমিটিকে দড়ি দিয়ে বেঁধে টেনে নদীর জলে ছেড়ে দেন। খবর দেওয়া হয় বন ও মৎস্য দফতরে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ জানুয়ারি ২০২৫ ০৭:০৭
ঘোড়ামারা ও কাকদ্বীপ এলাকায় পরপর দুদিন দেখা মিলল নীল তিমির।

ঘোড়ামারা ও কাকদ্বীপ এলাকায় পরপর দুদিন দেখা মিলল নীল তিমির। নিজস্ব চিত্র।

এক দিন তার দেখা মিলল মুড়িগঙ্গার চরে। কাদা মাখা অবস্থায়। পর দিন কয়েক কিলোমিটার দূরে, হুগলি নদীর চরে। বুধ ও বৃহস্পতিবার— দু’দিনে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের ঘোড়ামারা দ্বীপের রায়পাড়া এবং লক্ষ্মীপুর এলাকায় দেখা মিলল প্রায় ২০ ফুট লম্বা একটি তিমির। প্রশাসন মনে করছে, তিমিটি সমুদ্র থেকে কোনও ভাবে এই এলাকায় ঢুকে নদীতে আটকে পড়ে। তাই নানা চরে তাকে দেখা গিয়েছে। দু’দিনই গ্রামবাসীরা তিমিটিকে দড়ি দিয়ে বেঁধে টেনে নদীর জলে ছেড়ে দেন। খবর দেওয়া হয় বন ও মৎস্য দফতরে।

জল্পনা ছড়ায়, কালচে রঙের প্রাণীটি নীল তিমি কি না। তবে ওড়িশা গোপালপুরের জ়ুলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া-র বিজ্ঞানী অনিল মহাপাত্র জানান, এটি ব্রাইড’স প্রজাতির তিমি। ভারতীয় উপকূলেই দেখা মেলে। ২০১২-এ পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘা মোহনাতেও দেখা যায়। বন্যপ্রাণী সুরক্ষা আইনের আওতায় রয়েছে এটি।

জেলা প্রশাসনের একাংশ মনে করছে, তিমিটি দলছুট হয়ে খাবারের সন্ধানে চরে চলে আসতে পারে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার সহ-মৎস্য অধিকর্তা (সামুদ্রিক) সুরজিৎ বাগের মতে, গভীর সমুদ্রে না পৌঁছনো পর্যন্ত তিমিটি বার বার বাধা পেতে থাকবে। কারণ, নদীতে প্রচুর ট্রলার ও মাছ ধরার জাল পাতা থাকে। বিষয়টি জ়ুলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া-কে জানানো হয়েছে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Whale

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy