Advertisement
১১ মে ২০২৪
TMC

West Bengal Municipality Election: ভোটের আগেই বজবজ জিতে নিল তৃণমূল, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১২ ওয়ার্ডে জয়

তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, বজবজ পুরসভার মোট ২০টি আসনের মধ্যে ১২টিতে দলীয় প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন। ম্যাজিক সংখ্যা ১১।

খুশির হাওয়া তৃণমূল শিবিরে।

খুশির হাওয়া তৃণমূল শিবিরে। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বজবজ শেষ আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৭:০৩
Share: Save:

তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গড় দক্ষিণ ২৪ পরগনায় পুরভোটের আগেই ফুটল ঘাসফুল। ভোটের আগেই বজবজ পুরসভা দখল করে নিল তৃণমূল। ওই পুরসভায় ভোট হবে আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি। তবে তার আগেই পুরসভার ১২টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পেয়েছে জোড়াফুল শিবির।
১০৮টি পুরসভার ভোটের জন্য বুধবারই ছিল মনোনয়নের শেষ দিন। দুপুর তিনটে পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময়সীমা ছিল। তবে তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, বজবজ পুরসভার মোট ২০টি আসনের মধ্যে ১২টিতে দলীয় প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন। পুরবোর্ড গঠনের জন্য ম্যাজিক সংখ্যা ১১। ১২টি ওয়ার্ড বিরোধীশূন্য হওয়ায় ওই পুরসভা তৃণমূলের ঝুলিতেই চলে গেল।

বজবজ পুরসভার ২০টি ওয়ার্ডের মধ্যে দু’টি ওয়ার্ড (৫ এবং ১৮)-এ বিজেপি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে। আটটি ওয়ার্ড (৫, ৮, ১০, ১১, ১৩, ১৪, ১৭ ও ১৮)-এ মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে বামেরা। বিজেপি-র ডায়মন্ড হারবার সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি সবিতা চৌধুরীর কথায়, ‘‘তৃণমূল আমাদের প্রার্থীদের ভয় দেখাচ্ছে ক্রমাগত। কেউই বাড়ির বাইরে বার হওয়ার সাহস পাচ্ছেন না। আমাদের প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দিতে দেওয়া হয়নি। মাত্র দু’জন মনোনয়নপত্র জমা দিতে পেরেছেন।’’

একই অভিযোগ বামেদেরও। সিপিএমের বজবজ এরিয়া কমিটির সম্পাদক আখতার হোসেন বলেন, ‘‘ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের কথা বজবজের সকলেই জানেন। প্রার্থীরা নিরাপত্তা পাননি বলেই অনেক ওয়ার্ডে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়নি। ভয় দেখিয়ে তৃণমূল বিরোধীদের কণ্ঠ রোধ করতে চাইছে।’’

বিরোধীদের অভিযোগ, মানতে নারাজ তৃণমূল। ফলতা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তথা অভিষেক ‘ঘনিষ্ঠ’ নেতা জাহাঙ্গির খানের কথায়, ‘‘বিরোধীরা মিথ্যা অভিযোগ করছে। তারা প্রার্থী দেওয়ার লোক পায়নি। তৃণমূলের আমলে বজবজের দিকে দিকে উন্নয়ন হয়েছে। তাই মানুষ বিরোধীদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।’’

বজবজ পুরসভা হাতে এলেও সেখানকার দলীয় প্রার্থীদের নিয়ে বিতর্ক জিইয়ে রয়েছে তৃণমূল শিবিরে। বিতর্ক দানা বেঁধেছে দলের তরফে প্রকাশিত দ্বিতীয় তালিকার প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিতে না পারায়। প্রথম তালিকায় যাঁরা ছিলেন তাঁরাই মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। মঙ্গলবার বজবজ পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী হাসিবা খাতুনের সমর্থনে প্রচার করেন জাহাঙ্গির। সেই মিছিলকে ঘিরে ওই বিতর্ক তুঙ্গে। কারণ হাসিবা দলের অনুমোদিত প্রার্থী নন। তাঁর নাম প্রথম তালিকায় ছিল। ঘটনাচক্রে জাহাঙ্গিরের ওই মিছিলের দিন কয়েক আগেই তাঁর ওয়াই ক্যাটেগরির নিরাপত্তা প্রত্যাহার করে নিয়েছে নবান্ন।

মহেশতলা পুরসভাতেও তৃণমূলের প্রার্থী-বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন দু’জন প্রার্থী। এক জন রাজিয়া খাতুন এবং অন্য জন শুভ্রা চক্রবর্তী। সংশোধিত তালিকায় শুভ্রার নাম রয়েছে। তাঁকে দলীয় প্রতীক দেওয়ার দাবিতে আলিপুরে প্রশাসনিক দফতরের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছেন মহেশতলার বিধায়ক তথা পুরসভার বিদায়ী চেয়ারম্যান দুলাল দাস। পরে দলীয় নেতৃত্বের আশ্বাসে বিক্ষোভ তুলে নেন তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

TMC BJP CPM Budge Budge
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE