Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Drinking Water Crisis

বছরে তিন-চার মাস জলকষ্ট বাঁধাধরা

ক্যানিং ১ ব্লকের বেশিরভাগ এলাকায় মানুষকে বছরের তিন-চার মাস পানীয় জলের অভাবে কাটাতে হয় বলে অভিযোগ।

বাহিরসোনা এলাকায় তৈরি হওয়া নতুন পাম্প হাউস। নিজস্ব চিত্র

বাহিরসোনা এলাকায় তৈরি হওয়া নতুন পাম্প হাউস। নিজস্ব চিত্র

প্রসেনজিৎ সাহা
ক্যানিং  শেষ আপডেট: ২৬ মে ২০২৩ ১০:০৪
Share: Save:

পাইপ লাইনের মাধ্যমে এখনও পর্যন্ত ক্যানিং মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকায় বাড়ি বাড়ি জল পৌঁছয়নি। দুৃ’একটি পঞ্চায়েত এলাকায় পাড়ায় পাড়ায় পাইপ লাইনের সংযোগ হয়ে গেলেও ব্লকের বেশিরভাগ এলাকায় এখনও কাজ বাকি। ক্যানিং ১ ব্লকের ইটখোলা, নিকারিঘাটা, গোপালপুর পঞ্চায়েত এলাকার বেশিরভাগ কাজই সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে। ব্লকের বাকি ৭টি পঞ্চায়েত এলাকাতেও কাজ জোরকদমে চলছে বলে দাবি জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের।

ক্যানিং ১ ব্লকের বেশিরভাগ এলাকায় মানুষকে বছরের তিন-চার মাস পানীয় জলের অভাবে কাটাতে হয় বলে অভিযোগ। শীতের শেষ থেকে শুরু করে বর্ষা না নামা পর্যন্ত ভূগর্ভস্থ পানীয় জলের স্তর অনেকটা নীচে নেমে যাওয়ায় বেশিরভাগ গভীর নলকূপ অকেজো হয়ে পড়ে। ফলে পানীয় জলের সমস্যায় পড়তে হয় মানুষকে। মাতলা ১, মাতলা ২, দিঘিরপাড়, দাঁড়িয়া, হাটপুকুরিয়া, নিকারিঘাটা-সহ প্রায় সব পঞ্চায়েত এলাকাতেই একই সমস্যা দেখা দেয়।জল কিনে খেতে হয়।

ক্যানিংয়ের বাসিন্দা মুক্তি সর্দার, চন্দ্রিমা রাউতরা বলেন, “গরম পড়তে না পড়তে প্রতি বছর পানীয় জলের সঙ্কট দেখা দেয়। এলাকার সমস্ত টিউবওয়েল অকেজো হয়ে পড়ে। গত চার-পাঁচ বছর ধরে এই সমস্যায় ভুগছি। আসলে শীতের শেষে চাষের জন্য বিভিন্ন জায়গায় স্যালো বসানোর কারণে পানীয় জলের ঘাটতি আরও বেশি করে দেখা চিয়েছে।”

সমস্যার কথা জানে ব্লক প্রশাসন। আর সে কারণে বিভিন্ন জায়গায় সাব মার্সিবল পাম্প বসিয়ে বেশ কিছু পাড়ায় জলের সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করা হয়েছে। দিঘিরপাড় পঞ্চায়েতের প্রধান অন্নপূর্ণা কুণ্ডু বলেন, “আমাদের এলাকায় গরম পড়লেই জলস্তর অনেক নীচে নেমে যায়। সে কারণে গত কয়েক বছরে আমরা বহু পাড়ায় পাড়ায় সাব মার্সিবল পাম্প বসিয়ে জল তুলে স্থানীয় ভাবে দেওয়ার চেষ্টা করছি। এতে অনেকটা সমস্যা মিটেছে। অন্য দিকে, জলস্বপ্ন প্রকল্পের কাজও দ্রুত গতিতে চলছে এলাকায়।” বিধায়ক পরেশরাম দাস বলেন, “জলস্বপ্ন প্রকল্পের কাজ গোটা ব্লক জুড়ে জোর কদমে চলছে। আশা করি, চলতি বছরের শেষ দিকে কাজ শেষ হবে। সব মানুষ বাড়িতে জল পাবেন।” বিডিও শুভঙ্কর দাসের কথায়, “কিছু এলাকায় ভূগর্ভস্থ জলস্তর কমে সমস্যা হচ্ছে। প্রতি বছর এই সময়ে সমস্যা প্রকট হয়। যেখানে সমস্যা রয়েছে, সেখানে ট্যাঙ্কে জল পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।” ক্যানিংয়ের জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের আধিকারিক প্রণবকুমার সাঁফুই বলেন, “সব ক’টি পঞ্চায়েত এলাকায় কাজ শুরু হয়েছে। বেশ কয়েকটি পঞ্চায়েতে কাজ শেষের পথে। আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে আশা করছি, গোটা ব্লকে বাড়ি বাড়ি জল পৌঁছে দিতে পারব।”

এ নিয়ে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। দলের জয়নগর সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক বিকাশ সর্দার বলেন, “কেন্দ্র অনেক আগেই এই প্রকল্পের টাকা রাজ্যকে দিয়েছে। কিন্তু ত?????? ????? ??? ??????ৎপরতার সঙ্গে কাজ হয়নি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Drinking Water Crisis Canning
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE