এক তরুণীর পচাগলা দেহের ময়না-তদন্তের সময়ে তাঁর জরায়ু উধাও হয় কী করে, সেই প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্টের প্রশ্ন, কেন জরায়ুর খোঁজ মিলল না, তার উত্তর খুঁজতে মামলার তদন্তকারী অফিসার ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞের মতামত নিয়েছেন কি?
গঙ্গাসাগরের বাসিন্দা এক তরুণীকে ধর্ষণ করে খুনের মামলার প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার ওই প্রশ্ন তোলেন হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী। ঘটনার তদন্ত করছে সিআইডি। এ দিন বিচারপতি বাগচী সিআইডি-র তদন্তকারী অফিসারকে নির্দেশ দিয়েছেন, মামলার সব তথ্যপ্রমাণ আদালতে দাখিল করতে। আগামী সোমবার ওই সব তথ্যপ্রমাণ আগামী ১০ এপ্রিল আদালতে দাখিল করবে সিআইডি। সেই দিন তদন্তকারী অফিসারকে হাজিরও থাকতে হবে আদালতে।
ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় পুলিশের তদন্তে সন্তুষ্ট না হয়ে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন তরুণীর দাদা। এ দিন তাঁর আইনজীবী অনিরুদ্ধ চট্টোপাধ্যায় ও কুশল চট্টোপাধ্যায় জানান, গত বছর ৯ সেপ্টেম্বর ওই তরুণী নিখোঁজ হন। তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে, এই অভিযোগ জানিয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে এফআইআর দায়ের হয়।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর সাগরের ঋষিকুল আশ্রমের সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার হয় তরুণীর দেহ। স্থানীয় যে চার জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছিল, তাদের দু’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তারা জামিনও পায়। বাকি দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ বা গ্রেফতার করেনি উপকূল থানার পুলিশ। থানার তদন্তে সন্তুষ্ট না হয়ে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন নিহত তরুণীর দাদা। ২২ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি বাগচী সিআইডি-কে তদন্ত ও মামলার কেস ডায়েরি দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। এ দিন মামলার কেস ডায়েরি খতিয়ে দেখে বিচারপতি বাগচী এ সব প্রশ্ন তোলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy