আজগার মোড়ল।
স্বামীকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ উঠল প্রথম পক্ষের স্ত্রী ও তার বাপের বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে।
বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বাসন্তীর কাঁঠালবেড়িয়া অঞ্চলের খেঁড়িয়া এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, আজগার মোড়ল (৩২) নামে ওই যুবকের বাবা উসমান মোড়ল খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। তারই ভিত্তিতে আজগারের প্রথম পক্ষের স্ত্রী মুর্শিদা মোড়ল, শ্বশুর মনসুর মণ্ডল, শ্যালক মোশারফ মণ্ডলকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, প্রায় ষোলো বছর আগে খেঁড়িয়ার বাসিন্দা মনসুরের মেয়ে মুর্শিদার সঙ্গে বিয়ে হয় বাসন্তীর কালীপদ মোড়ের গাজি পাড়ার আজগারের। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে ওই দম্পতির মধ্যে বনিবনা ছিল না। মুর্শিদা প্রায়ই নানা অজুহাতে বাপের বাড়ি চলে যেত। এই নিয়ে তাঁদের মধ্যে ঝামেলা হত। পরে আজগার জানতে পারেন, মুর্শিদার সঙ্গে তার বাপের বাড়ি এলাকার একজনের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক আছে।
পুলিশ জানায়, আজগার দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এরপর থেকেই মুর্শিদা স্বামীকে চাপ দিতে থাকে, দ্বিতীয় স্ত্রীকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য। এই নিয়ে তাঁদের মধ্যে প্রায় ঝামেলা হত। এ দিন মুর্শিদা ফোন করে স্বামীকে বাপের বাড়ি আসতে বলে। সেই মতো আজগার প্রাক্তন শ্বশুর বাড়িতে যান।
অভিযোগ, সেখানে শ্বশুরবাড়ির লোকজন দ্বিতীয় স্ত্রীকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে। এই নিয়ে গন্ডগোল বাধে। তারপরেই ওই যুবককে গলায় ওড়নার ফাঁস লাগিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পরে মুর্শিদার বাপের বাড়ি থেকে ফোন করে আজগারের বাড়িতে জানানো হয়, তিনি অসুস্থ। এখনই হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
পুলিশ জানিয়েছে, আজগারের বাড়ির লোকজন তাঁর প্রথম পক্ষের শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার সময়ে রাস্তায় দেখেন, আজগারকে একটি মোটর ভ্যানে করে তাঁদের বাড়ির দিকে নিয়ে আসা হচ্ছে। আজগারের পরিবারের লোকজন তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাইলে শ্বশুরবাড়ির লোকজন বাধা দেন বলে অভিযোগ। বাসন্তী ব্লক হাসপাতালে আজগারকে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপরেই আজগারের বাবা খুনের অভিযোগ দায়ের করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy