—প্রতীকী ছবি।
স্বামীকে দুধের সঙ্গে কীটনাশক মিশিয়ে খাইয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠল প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা স্ত্রীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি বনগাঁ থানার পশ্চিমপাড়া এলাকার। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম দুলাল মণ্ডল ( ৪০)। তিনি ২৫ ফেব্রুয়ারি বারাসতের একটি নার্সিংহোমে মারা যান। মৃত্যুর আগে পুলিশ দুলালের জবানবন্দি নিয়েছিল। তারই ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তকারীরা জানান, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরেই দুলালের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর বারো আগে বাগদার বাজিতপুর এলাকার বাসিন্দা দুলালের সঙ্গে বিয়ে হয় পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা তরুণীর। তাঁদের আট বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। পুলিশে দায়ের করা অভিযোগে মৃতের মা হরিদাসী মণ্ডল জানিয়েছেন, বিয়ের পরে ছেলে-বৌমা সুখেই সংসার করছিলেন। কিন্তু কিছু দিন আগে সাংসারিক বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি বাধে। হরিদাসী বলেন, ‘‘ছেলে-বৌমাকে অনেক বুঝিয়েছিলাম। কিন্তু অশান্তি থামেনি। উল্টে বৌমা নাতনিকে নিয়ে মাস পাঁচেক আগে পশ্চিমপাড়ায় ভাড়াবাড়িতে চলে যায়। ছেলে ফোন করে বাড়ি ফিরতে অনুরোধ করলেও কাজ হয়নি।’’
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৬ ফেব্রুয়ারি দুলাল স্ত্রী ও মেয়েকে ফিরিয়ে আনতে পশ্চিমপাড়ায় স্ত্রীর ভাড়া বাড়িতে যান। ওই রাতে তিনি সেখানেই ছিলেন। পর দিন দুলাল বাড়ি ফিরে অসুস্থ হয়ে পড়েন। ১৯ ফেব্রুয়ারি তাঁকে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় বারাসতের নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে দুলাল মারা যান।
২৫ ফেব্রুয়ারি সকালে হরিদাসী বৌমার নামে দুধ ও ফলের রসের সঙ্গে কীটনাশক খাওয়ানোর অভিযোগ করেন। পুলিশ শুরুতে খুনের চেষ্টার মামলা শুরু করেছিল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মহিলার বিরুদ্ধে খুনের মামলার ধারা যুক্ত করতে চেয়ে শুক্রবার বনগাঁ মহকুমা আদালতে আবেদন করা হয়েছে। হরিদাসী বলেন, ‘‘ছেলেকে বৌমা মেরে ফেলেছে। আমি ওর শাস্তি চাই।’’ পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত মহিলা পুলিশের কাছে দাবি করেছেন, তিনি ঘটনার সঙ্গে কোনও ভাবেই জড়িত নন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy