Advertisement
E-Paper

নারী পাচারকারী সন্দেহে মারধর

পুলিশ জানিয়েছে, জখম মহিলার নাম মুমতাজ বিবি। তাঁর দাবি, বাপের বাড়ির গ্রামের এক কিশোরীকে নির্যাতন করত তার সৎ মা, বাবা। তা জানতে পেরে তিনি মেয়েটিকে নিজের এক আত্মীয়ের বাড়িতে রেখে আসেন। গ্রামের কিছু লোক ধরে নেয়, মেয়েটিকে পাচার করে দিয়েছেন মুমতাজ। সে কারণেই এমন অত্যাচার।

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শেষ আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০১৮ ০২:২১
নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব চিত্র

নারী পাচারকারী সন্দেহে তরুণীকে ঘরে আটকে রেখে শুরু হয় মারধর। মাথা ফেটে গেলে সেখানে নুন ছড়িয়ে দেওয়া হয়। চুলও কেটে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ।

সোমবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে ভাঙড় থানার চন্দনেশ্বরের অশ্বথবেড়িয়া জামাইপাড়ায়। পুলিশ জানিয়েছে, জখম মহিলার নাম মুমতাজ বিবি। তাঁর দাবি, বাপের বাড়ির গ্রামের এক কিশোরীকে নির্যাতন করত তার সৎ মা, বাবা। তা জানতে পেরে তিনি মেয়েটিকে নিজের এক আত্মীয়ের বাড়িতে রেখে আসেন। গ্রামের কিছু লোক ধরে নেয়, মেয়েটিকে পাচার করে দিয়েছেন মুমতাজ। সে কারণেই এমন অত্যাচার।

যে কিশোরীকে পাচারের অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে, তাঁকে মুমতাজের এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে গ্রামে ফিরিয়ে এনেছেন পরিবারের লোকজনই। মুমতাজের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। ওই কিশোরী কোনও নির্যাতনের শিকার কিনা, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, স্রেফ সন্দেহের বশেই প্রহৃত হয়েছেন মহিলা।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মুমতাজের শ্বশুরবাড়ি পার্ক সার্কাসে। দিন কয়েক আগে তিনি ভাঙড়ের গ্রামে বাপের বাড়িতে আসেন। পুলিশের কাছে তাঁর দাবি, প্রতিবেশী এক কিশোরীকে তার বাবা ও সৎ মা অত্যাচার করত বলে জানতে পারেন মুমতাজ। মেয়েটিকে তিনি ঘুটিয়ারিশরিফে এক আত্মীয়ের বাড়িতে রেখে আসেন।

পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন শ্বশুরবাড়ি যাবেন বলে চম্পাহাটি স্টেশনে গিয়েছিলেন মুমতাজ। অভিযোগ, সেখানেই গ্রামের কিছু লোক ধরে ফেলে মুমতাজকে। স্টেশন থেকে অটোয় তুলে গ্রামে ফিরিয়ে নিয়ে আনা হয়। একটি ঘরে আটকে রেখে শুরু হয় নির্যাতন। ওই কিশোরীকে মুমতাজ পাচার করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ তুলে চলে মারধর। পরে স্থানীয় কিছু মানুষ তাঁকে উদ্ধার করে নলমুড়ি ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যান। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁকে।

Girl Trafficker Beating
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy