বারুইপুরে দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাস। —নিজস্ব চিত্র।
মেয়েকে নিয়ে কোচিং সেন্টারে যাচ্ছিলেন মা। বাসের ধাক্কায় মৃত্যু হল মহিলার। মাকে চোখের সামনে পিষে যেতে দেখল ছোট মেয়ে। শুক্রবার বাসের ধাক্কায় এক বধূর মৃত্যুর ঘটনায় উত্তেজনা ছড়াল বারুইপুরে। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতার নাম সালমা বিবি।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার বিকেলে বারুইপুরে কুলপি রোড পার হচ্ছিলেন বছর পঁয়ত্রিশের সালমা। মেয়ের হাত ধরা ছিল। সেই সময় বেপরোয়া গতিতে ছুটে আসা বারাসত-বারুইপুর রুটের একটি বাসের ধাক্কায় মৃত্যু হয় ওই বধূর। এই ঘটনায় মুহূর্তের মধ্যে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সংশ্লিষ্ট এলাকা। উত্তেজিত জনতা ওই রুটের একাধিক বাসে ভাঙচুর চালায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বারুইপুর থানার পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে তারা। কিন্তু জনতার বিক্ষোভে বিকেল থেকে প্রায় দু’ঘণ্টা বারুইপুর-কুলপি রোড অচল হয়ে যায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, এই দুর্ঘটনাটি হয়েছে বারুইপুর কুলপি রোডের উপর যোগী বটতলা এলাকায় মডার্ন ক্লাবের ঠিক উল্টো দিকে। রাস্তা পারাপারের সময় বারুইপুর থেকে বারাসতগামী একটি বাস ওই মহিলাকে ধাক্কা মেরে চলে যায়। তিনি মেয়েকে টিউশনি পড়াতে নিয়ে যাচ্ছিলেন। মৃতার মেয়ের কথায়, ‘‘গাড়িগুলো দাঁড়িয়ে ছিল। মা রাস্তা পার হওয়ার সময় হাত দেখিয়ে একটি বাসকে দাঁড়াতে বলে। কিন্তু ওই বাসটি থামেনি। মাকে পিষে দেয় বাসটি।’’ এই দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে বারুইপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পার্থ ঘোষের নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী গিয়ে অবরোধ তুলেছে বলে খবর।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বেহালার চৌরাস্তায় এই রকম একটি দুর্ঘটনা হয়। বাসের ধাক্কায় মৃত্যু হয় সৌরনীল সরকার নামে দ্বিতীয় শ্রেণির এক পড়ুয়ার। তার বাবা গুরুতর ভাবে জখম হন। ওই ঘটনার পর রাজ্যে একাধিক জায়গায়, মূলত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে রাস্তায় ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণে কড়াকড়ি শুরু হয়। কিন্তু তার পরেও একাধিক দুর্ঘটনা হয়েছে গত কয়েক দিনে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy