—প্রতীকী চিত্র।
হাত-পা বাঁধা। ওড়না দিয়ে মুখ ঢাকা। তা থেকে বেরোচ্ছে ধোঁয়া। এই অবস্থায় এক অজ্ঞাতপরিচয় তরুণীর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে মঙ্গলবার চাঞ্চল্য ছড়াল উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগর এলাকায়। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের গোবিন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গোন্যাসপুর মাঠ থেকে তরুণীর আধপোড়া দেহ উদ্ধারে রহস্য ঘনিয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে মাঠে গিয়ে দেহটি পড়ে থাকতে দেখেন কৃষকেরা। তার পরেই খবর দেওয়া হয় পুলিশে। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই তরুণীর বয়স ১৯-২০ বলে ধারণা। মৃতার নাম-পরিচয় জানা যায়নি। খুন বলে প্রাথমিক সন্দেহ পুলিশের। শুরু হয়েছে তদন্ত।
স্থানীয়েরা জানিয়েছেন, তরুণীর হাত-পা বাঁধা ছিল। ওড়না দিয়ে মুখ ঢাকা ছিল। মুখে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছিল কেউ। তাই সেখান থেকে ধোঁয়া বেরোচ্ছিল। কালাম মণ্ডল নামে এক গ্রামবাসীর কথায়, ‘‘হাত-পা বাঁধা ছিল। মুখ ওড়না দিয়ে বাধা ছিল। আগুন জ্বলছিল।’’ রাহান মণ্ডল জানিয়েছেন, ‘‘আমার মা সকালে মাঠে এসেছিল। দেহটি পড়ে থাকতে দেখে ভয় পান। বাড়ি ফিরে সবটা জানান।’’ পুলিশের অনুমান, খুনের পর দেহ লোপাট করতেই মুখে আগুন ধরিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। দেহটি উদ্ধার করে বসিরহাট জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী গ্রামে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশের সন্দেহ, ওই তরুণী বাংলাদেশের বাসিন্দাও হতে পারেন। খুনের পর দুষ্কৃতীরা সীমান্ত লাগোয়া গ্রামে দেহ ফেলে চম্পট দিয়ে থাকতে পারে। মৃতদেহের পাশ থেকে ব্যাগ এবং বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy