জ্বরে ভুগে বাড়িতেই মারা গেলেন গোবরডাঙার বাসিন্দা এক মহিলা। নাম, রূপা মণ্ডল (৩৭)। পরিবার সূত্রের খবর, বুধবার থেকে জ্বর এসেছিল বেলিনি এলাকার বাসিন্দা রূপার। রক্ত পরীক্ষায় ডেঙ্গি ধরাও পড়েছিল। তা সত্ত্বেও হাসপাতালে না গিয়ে বাড়িতেই চিকিৎসা চলছিল রূপার। স্থানীয় এক চিকিৎসককে দেখানো হয়েছিল। রবিবার দুপুরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে জানিয়ে দেন।
গোটা ঘটনায় ফের ডেঙ্গি-সচেতনতার হাল নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। স্বাস্থ্য দফতর, প্রশাসন, পঞ্চায়েত থেকে নিয়মিত ভাবে গ্রামে গ্রামে প্রচার করে বলা হচ্ছে, জ্বর-ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হলে মানুষ যেন সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা হাসপাতালে যান। তারপরেও মানুষ যে সচেতন হচ্ছেন না, রূপার মৃত্যু তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল।
কেন রূপাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল না? রূপার স্বামী সুকুমার পেশায় গাড়ি চালক। তিনি বলেন, ‘‘জ্বর-ডেঙ্গি হলে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়, তা জানা ছিল। কিন্তু ওই চিকিৎসককে আমরা বিশ্বাস করি। উনি বলেছিলেন, চিন্তার কিছু নেই।’’ মৃতের বাবা সুজিত সরকার বলেন, ‘‘ওই চিকিৎসক বলেছিলেন, প্রয়োজন হলে তিনিই রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করে দেবেন।’’ রূপার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সকাল ১০টা নাগাদ শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। পরিবারের তরফে ওই চিকিৎসককে ফোন করা হলে তিনি জানান, অস্ত্রোপচার করছেন। পরে ফোন করছেন। রোগীর অবস্থার আরও অবনতি হতে থাকে। পায়খানা-বমি হয়। শরীর ঘেমে যাচ্ছিল। পরিবারের লোকজন আবারও চিকিৎসককে ফোন করেন। তাঁদের জানানো হয়, চেম্বারে বসতে এখনও কিছুটা সময় লাগবে। রোগীর অবস্থা খারাপ হলে যেন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।