E-Paper

হাত-মুখ বেঁধে ধর্ষণ কিশোরীকে 

তদন্তকারীরা জানান, ইটভাটায় শিশুশ্রমিক ছিল ওই নাবালিকা। সেখানে অসুস্থ হয়ে পড়লে বাড়ি চলে যাওয়ার সময়ে সুরজের বাবার নজরে পড়ে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ অগস্ট ২০২৪ ০৮:২১
—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসক ছাত্রীকে ধর্ষণ করে নৃশংস ভাবে খুনের ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বছর এগারোর গৃহ সহায়িকাকে পিছমোড়া করে হাত বেঁধে, মুখে কাপড় গুঁজে দিনের পর দিন ধর্ষণ ও খুনের হুমকির ঘটনা প্রকাশ্যে এল শনিবার। অভিযুক্ত সুরজ মোল্লা পলাতক। পুলিশ তার বাবাকে ধরেছে।

শনিবার সন্ধ্যায় ওই নাবালিকা কোনও রকমে পালিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসে। স্থানীয় লোকজন তার মুখ-হাতের বাঁধন খুলে দেন। কিছুটা ধাতস্থ হওয়ার পরে গোটা ঘটনা খুলে বলে সে। পুলিশ ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। শারীরিক পরীক্ষার পরে একটি হোমে তাকে রাখা হয়েছে। হাসপাতালের চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, নাবালিকার উপরে শারীরিক নিগ্রহ হয়েছে। যৌনাঙ্গে ক্ষতচিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। লাগাতার ধর্ষণের ফলে যৌনাঙ্গ থেকে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল বলেও তাঁরা জানিয়েছেন।

তদন্তকারীরা জানান, ইটভাটায় শিশুশ্রমিক ছিল ওই নাবালিকা। সেখানে অসুস্থ হয়ে পড়লে বাড়ি চলে যাওয়ার সময়ে সুরজের বাবার নজরে পড়ে। খাবার দেওয়ার নাম করে তাকে বাড়িতে নিয়ে এসে পরিচারিকার কাজ করাতে শুরু করে। এই সুযোগে সুরজ ওই নাবালিকাকে গত দু’মাস ধরে নিয়মিত ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ। বাধা দিতে গেলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দিত। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘সুরজ এতটাই বিকৃত মানসিকতার, মেয়েটির হাত-পা বেঁধে যৌন নির্যাতন চালাত সে। শনিবার দুপুরে ধর্ষণের পরে মেয়েটি অচেতন হয়ে পড়লে তার হাত-মুখ বাঁধা অবস্থাতেই ফেলে রেখে সে ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। সন্ধ্যায় হুঁশ ফিরলে মেয়েটি কোনও রকমে বাড়ি থেকে বেরিয়ে সকলকে ঘটনার কথা জানায়।’’

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পথচলতি মানুষ হাত-মুখের বাঁধন খোলেন নাবালিকার। সে টাকা চেয়েছিল বাড়ি ফেরার জন্য। অবস্থা দেখে স্থানীয়দের সন্দেহ হওয়ায় তাঁরা জিজ্ঞাসাবাদ করলে মেয়েটি সব কথা জানায়। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। সেখান থেকেই পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে পুলিশ এসে উদ্ধার করে নাবালিকাকে। অভিযুক্তের বাড়িতে তল্লাশি করতে গেলে পালিয়ে যায় সুরজ। তার বাবাকে ধরে ফেলে পুলিশ। স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে ধর্ষণের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।

নির্যাতিতা কিশোরীর কাকা বলেন, “মা নেই ওর। বাবা মূক-বধির। খিদের জ্বালায় কাজ করছিল লোকের বাড়িতে। কিন্তু সেখানে ছোট্ট মেয়েটিকে লালসার শিকার হতে হল। দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

South 24 Parganas

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy