Advertisement
১১ ডিসেম্বর ২০২৩
Man Drowned

বিশ্বকর্মা ঠাকুর বিসর্জনে গিয়ে ডায়মন্ড হারবারের হুগলি নদীতে তলিয়ে গেলেন যুবক, জারি তল্লাশি

বুধবার রাতে ডায়মন্ড হারবারের কেল্লার মাঠের কাছে একটি ঘাটে বিশ্বকর্মা ঠাকুর বিসর্জন দিতে আনেন কিসান সাউ-সহ আরও কয়েক জন। বিসর্জন দিতে সকলে নদীতে নামেন। তার পর থেকেই কিসান নিখোঁজ।

Screen Grab

হুগলি নদীতে চলছে নিখোঁজ যুবকের সন্ধানে তল্লাশি। — নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
ডায়মন্ড হারবার শেষ আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৯:৫৯
Share: Save:

বিশ্বকর্মা ঠাকুর বিসর্জন দিতে এসে আর বাড়ি ফেরা হল না। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবারে তলিয়ে গেলেন ২৬ বছরের এক যুবক। জানা গিয়েছে, তলিয়ে যাওয়া যুবকের বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুরে। কাজের সূত্রে তিনি ডায়মন্ড হারবারে থাকতেন। সেখানেই কারখানার প্রতিমা নিরঞ্জনে এসে বাকিদের সঙ্গে হুগলি নদীতে নেমেছিলেন তিনি। বিসর্জন শেষে সকলে উঠে এলেও নিখোঁজ হয়ে যান কিসান সাউ। তাঁর খোঁজে এখনও জারি তল্লাশি।

কিসানের সহকর্মীদের দাবি, বুধবার রাতে কয়েক জন মিলে বিশ্বকর্মা ঠাকুর বিসর্জন দিতে ডায়মন্ড হারবারের কেল্লার মাঠ সংলগ্ন ঘাটে এসেছিলেন তাঁরা। প্রতিমা নিরঞ্জনের জন্য কিসান-সহ সকলেই নদীতে নেমেছিলেন। নদীতে তখন ভরা জোয়ার। সহকর্মী দিবাকরের দাবি, জোয়ারের স্রোতেই ভেসে যান কিসান। আর তাঁর খোঁজ পাওয়া যায়নি।

নদীতে নিখোঁজ কিসান আদতে ব্যারাকপুরের টিটাগড়ের বাসিন্দা। কর্মসূত্রে তিনি ডায়মন্ড হারবারে থাকতেন। সুপারভাইজ়ারের চাকরি করতেন নগেন্দ্র বাজারের একটি চিংড়ি মাছের কারখানায়। বিশ্বকর্মা বিসর্জনের পর সকলে ঘাটে উঠে এলেও কিসান না ফেরায় খোঁজ করতে শুরু করেন সহকর্মীরা। চলে আসে পুলিশ এবং সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরাও। শুরু হয় নদীতে তল্লাশি। কিন্তু কিসানের চিহ্ন মেলেনি।

কিসানের পরিবারেও খবর যায়। অকুস্থলে চলে আসেন কিসানের দাদা মনোজ। তিনি বলেন, ‘‘ভাই সাঁতার জানত না। শুনলাম, বিশ্বকর্মা ঠাকুর বিসর্জন দিতে আরও কয়েক জনের সঙ্গে সে-ও নদীতে নেমেছিল। তার পরেই স্রোতের টানে ভেসে যায় বলে শুনছি। এখনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।’’ কিসানের এক সহকর্মীর দাবি, কিসানরা সকলেই মত্ত অবস্থায় ছিলেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE