এক যুবতীর অস্বাভাবিক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রবিবার বিকেলে উত্তেজনা ছড়াল দেগঙ্গার বেড়াচাঁপার গড়পাড়ায়। স্থানীয়েরা ওই যুবতীকে তাঁর ভাড়া নেওয়া ঘরের মেঝেয় পড়ে থাকতে দেখে চিকিৎসককে খবর দেন। চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এর পরেই স্থানীয় বাসিন্দা এবং তৃণমূলের মহিলা সংগঠনের সদস্যেরা ওই যুবতীর উপরে অত্যাচার চালিয়ে খুন করা হয়েছে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেন পুলিশের কাছে।
পুলিশ জানায়, বছর আঠাশের ওই যুবতী আদতে সন্দেশখালির বাসিন্দা। কিছু দিন ধরে তিনি এক ব্যক্তির সঙ্গে গড়পাড়ায় ঘর ভাড়া নিয়ে বসবাস করছিলেন। দেহটি ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেলেই মৃত্যুর কারণ পরিষ্কার হবে। ওই ভাড়াঘরের মালিকপক্ষের এক জনকে এবং মহিলার সঙ্গীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় এক ব্যক্তি তাঁর বেশ কিছু ঘর ভাড়া দেন। আড়াই মাস আগেও তেমনই একটি ভাড়াঘরে আর এক মহিলারও অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। এলাকাবাসীর অভিযোগ, বাইরের মহিলাদের ঘর ভাড়া দিয়ে অবৈধ কাজ-কারবার চালানো হতো। বছর তিনেক আগে এ নিয়ে বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয় থানায়। দু’পক্ষের বিবাদ থানা-পুলিশ পর্যন্ত গড়ায়। রবিবার ফের এক মহিলার অপমৃত্যুতে উত্তেজনা ছড়ায়।
দেগঙ্গার তৃণমূলের মহিলা সংগঠনের সম্পাদিকা সাধনা মিত্র বলেন, ‘‘গড়পাড়ায় ঘর ভাড়া দেওয়ার প্রতিবাদে তিন বছর আগে আমরা রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছিলাম। তখন পুলিশ এই অবৈধ ঘর ভাড়া বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিলেও কার্যত কিছুই হয়নি। আমাদের সন্দেহ, সন্দেশখালির মহিলার উপর পাশবিক অত্যাচার হয়েছে।’’