দুর্ঘটনার দায় অটো চালকের নয়, মোটর বাইক আরোহীদেরই এ কথা বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন অটোর যাত্রীরা। তারই জেরে যাত্রীদের নামিয়ে মারধর করে শুরু করে এক দল উন্মত্ত যুবক। বাদ যাননি মহিলা যাত্রীরাও। অটো চালককেও বেধড়ক পেটানো হয়েছে। কয়েক জন যাত্রী দৌড়ে ঢুকে পড়েছিলেন রাস্তার পাশের একটি বাড়িতে। সেখানে চড়াও হয়েও ভাঙচুর চালায় বেশ কিছু যুবক। ওই বাড়ির লোকজনও প্রহৃত হন। প্রতিবাদে পথ অবরোধ করেন স্থানীয় মানুষ।
রবিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে হাবরার বেলঘরিয়া বাইপাসে। থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের না হলেও এক জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। ফের হামলার ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন অটো চালক। তিনি মোবাইলে বলেন, “আমার কোনও দোষই ছিল না। ওরাই হঠাৎই মোটর বাইক নিয়ে অটোর সামনে চলে এসেছিল। নিজেরাই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে যায় রাস্তায়। কারও তেমন চোটও লাগেনি। কিন্তু দোষ ওদের বলাতেই হামলা করল। আমাকেও খুঁজছে বলে শুনেছি। ভয়ে বাড়ি ফিরতে পারছি না।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, অটোটি এ দিন হাবরা থেকে যাচ্ছিল আয়রার দিকে। মহিলা-পুরুষ মিলিয়ে যাত্রী ছিলেন সাত জন। সে সময়ে হাবরার বনবিথী থেকে পিকনিক সেরে একটি মোটর বাইকে ফিরছিল তিন যুবক। তারা আচমকা অটোর সামনে চলে আসায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তায় উল্টে পড়ে। এরপরেই শুরু হয় গোলমাল। মোটর বাইকের সওয়ার যুবকেরা অটোটিকে এলাকা ছেড়ে নড়তে দেয়নি। ফোন করে দলবল ডেকে নেয়। জনা তিরিশ ছেলে হই হই করে লাঠি-বাঁশ নিয়ে মোটর বাইক দাপিয়ে নিমেষের মধ্যে সেখানে হাজির হয়। এক মহিলা যাত্রীর কথায়, “আমরা তিন জন ভয় পেয়ে কাছেই একটি বাড়িতে আশ্রয় নিই। সেখানেও হামলা চালিয়েছে ওরা। গৃহকর্তা কেন আমাদের আশ্রয় দিয়েছেন, তাই নিয়ে শুরু হয় দাপাদাপি। বাড়িতে ভাঙচুর করে মদ্যপ যুবকের দল। আমাদের আশ্রয় দেওয়ার অপরাধে বাড়ির লোকজনকেও মারে।”
ইতিমধ্যে গোলমালের খবর পেয়ে আশপাশের লোকজন ভিড় করতে শুরু করেছিলেন। তাঁদের কয়েক জনের সঙ্গেও ধস্তাধস্তি বাধে হামলাকারীদের। কিন্তু ক্রমে লোক জড়ো হতে থাকায় তারা রণে ভঙ্গ দেয়। কিন্তু ঘটনার প্রতিবাদে হাবরা-অশোকনগরের বাইপাস রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় মানুষ। পরে পুলিশ এসে দোষীদের গ্রেফতারের আশ্বাস দিলে অবরোধ ওঠে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy