আস্থা ভোটে জিতে পঞ্চায়েতের ক্ষমতা দখল করল তৃণমূল। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে গাইগাটা ব্লকের চাঁদপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতে। বাম সদস্যরা এ দিন ভোটাভুটিতে অংশগ্রহণ করেননি।
ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে চাঁদপাড়া পঞ্চায়েতের ২৬টি আসনের মধ্যে তৃণমূল ১৩টি, বামেরা ১১টি ও নির্দল দু’টি আসন পেয়েছিল। প্রধান নির্বাচনের সময় এক জন তৃণমূল সদস্য অনুপস্থিত ছিলেন। নির্দল সদস্যেরা বামেদের পক্ষে ভোট দেন। প্রধান নির্বাচিত হন সিপিএমের হরেন্দ্রনাথ মণ্ডল। কিছু দিন আগে বিরোধী দলনেতা তৃণমূলের মণিমালা বিশ্বাস প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনে গাইঘাটা ব্লকের বিডিও পার্থ মণ্ডলকে চিঠি দেন। সেখানে তৃণমূলের ১৩ জন সদস্যই স্বাক্ষর করেছিলেন।
মঙ্গলবার পঞ্চায়েত অফিসে ভোটাভুটির আগে বাম সদস্যেরা হাজির থাকলেও তাঁরা ভোটদানে অংশ নেননি। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১৪-০ ভোটে তৃণমূল জিতে যায়। এক আরএসপি সদস্য গুরুদেব বিশ্বাস তৃণমূলের পক্ষে ভোট দেন।
কেন বামেরা ভোটাভুটিতে যোগ দিলেন না?
সিপিএমের বনগাঁ-গাইঘাটা লোকাল কমিটির সম্পাদক রমেন আঢ্য বলনে, “তৃণমূলের টাকার কাছে গুরুদেব বলে এক বাম সদস্য বিক্রি হয়ে গিয়েছেন। তারই প্রতিবাদে আমরা ভোটে অংশ নিইনি।”
গুরুদেববাবু অবশ্য জানিয়েছেন, “এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে তৃণমূলের সঙ্গে এসেছি। তৃণমূল ছাড়া এলাকার উন্নয়ন সম্ভব নয়।” ‘বিক্রি হয়ে যাওয়া’র বিষয়ে তিনি বলেন, “ওঁরা এখন এ সব বলতেই পারেন। এলাকার মানুষ সব জানেন। তাঁরাই বিচার করবেন।” তৃণমূলের পক্ষ থেকেও অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। গাইঘাটা পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি ধ্যানেশ নারায়ণ গুহ ও জেলা তৃণমুলের সাধারণ সম্পাদক গোবিন্দ দাস বলেন, “সিপিএম হেরে গিয়ে মিথ্যা দোষারোপ করছে। ভোটাভুটির পর গুরুদেব তৃণমূলে স্বেচ্ছায় যোগও দিয়েছেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy