Advertisement
E-Paper

এ বার কুকথা পুরমন্ত্রীর মুখে

শাসক দলের নেতৃত্বের মুখে কুকথার স্রোত অব্যাহত। তালিকায় নতুন সংযোজন ফিরহাদ হাকিম (ববি)। স্বরূপনগরে ভোটের প্রচারে গিয়ে বুধবার তিনি বলেন, “বাংলার রাজনীতি কি দিল্লির মালগুলো সব ক্যাপচার (দখল) করে নেবে? বাংলার কোনও মান থাকবে না?” এর আগে নদিয়ার চৌমুহায় স্বগর্বে নিজেকে ‘চন্দননগরের মাল’ বলে দাবি করে রাজ্য রাজনীতিতে বিস্তর শোরগোল ফেলেছিলেন তৃণমূল সাংসদ তাপস পাল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০০:৫৪
বক্তৃতা করছেন ফিরদাহ।—নিজস্ব চিত্র।

বক্তৃতা করছেন ফিরদাহ।—নিজস্ব চিত্র।

শাসক দলের নেতৃত্বের মুখে কুকথার স্রোত অব্যাহত।

তালিকায় নতুন সংযোজন ফিরহাদ হাকিম (ববি)। স্বরূপনগরে ভোটের প্রচারে গিয়ে বুধবার তিনি বলেন, “বাংলার রাজনীতি কি দিল্লির মালগুলো সব ক্যাপচার (দখল) করে নেবে? বাংলার কোনও মান থাকবে না?” এর আগে নদিয়ার চৌমুহায় স্বগর্বে নিজেকে ‘চন্দননগরের মাল’ বলে দাবি করে রাজ্য রাজনীতিতে বিস্তর শোরগোল ফেলেছিলেন তৃণমূল সাংসদ তাপস পাল। ওই সভাতেই “ঘরে ছেলে ঢুকিয়ে রেপ করিয়ে দেব” বলে বিরোধীদের যে ভাষায় হুমকি দিয়েছিলেন তিনি, তা নিয়েও বিস্তর জলঘোলা হয়েছে। পুরমন্ত্রী ফিরহাদের মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করে বিজেপি বিধায়ক শমীক ভট্টাচার্য এ দিন বলেন, “এ সবের মাধ্যমে ওঁর আতঙ্ক এবং হতাশাই ফুটে উঠেছে। এটা ওঁদের দলের সংস্কৃতিরই প্রতিফলন।”

বস্তুত, সারদা-কাণ্ড সহ সাম্প্রতিক নানা ঘটনায় তৃণমূল যতই কোণঠাসা হচ্ছে, দলের নেতা-নেত্রীদের ভাষা-সংযম ততই বে-লাগাম হচ্ছে। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো হাতের মুদ্রা সহযোগে ‘বাম্বু’ শব্দের প্রয়োগে তোলপাড় ফেলে দিয়েছিলেন। বিজেপি নেতৃত্ব প্রসঙ্গে মঞ্চে দাঁড়িয়ে তাঁর গালি শুনে রাজ্যবাসী যতই বিস্মিত হোন না কেন, বিরোধী শিবিরের মতে, শিষ্টাচার এবং বাকসংযমের ধার ধারেন না তৃণমূলের কেউই। মূলত বিজেপি নেতৃত্বই ইদানীং তাঁদের তোপের মুখে পড়ছেন। সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা সিদ্ধার্থনাথ সিংহ সম্পর্কে বলেছিলেন, “ওঁর দাদু (লালবাহাদুর শাস্ত্রী) যদি জানতেন এমন নাতি জন্মাবে, তা হলে বিয়েই করতেন না।” কল্যাণকে অবশ্য বার দু’য়েক এমন মন্তব্যের জেরে পরে সংসদে দাঁড়িয়ে ক্ষমা চাইতে হয়। দলের কাছে লিখিত ক্ষমা চেয়েছেন তাপসও। তারপরেও বিধায়ক স্বপন দেবনাথ ক’দিন আগে সিপিএম নেত্রীদের সম্পর্কে কটূক্তি করে ‘নাম’ কুড়িয়েছেন।

এ রাজ্যের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে অবশ্য কুকথায় বিস্তর ‘সুনাম’ ছিল বামেদেরও। বিমান বসুর “লালা (হাইকোর্টের বিচারপতি অমিতাভ লালা) বাংলা ছেড়ে পালা” কিংবা প্রয়াত বিনয় কোঙারের নন্দীগ্রাম-পর্বের উক্তি সেই তালিকাকেই নানা সময়ে ‘সমৃদ্ধ’ করেছে।

এ দিন বিভিন্ন দলের আরও একগুচ্ছ নেতা-মন্ত্রী সভা করেছেন বনগাঁ-হাবরায়। ছিলেন তৃণমূল নেতা সুব্রত বক্সি, মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, সিপিএমের সুজন চক্রবর্তী প্রমুখ।

southbengal swarupnagar hate speech firhad hakim
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy