Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

কলেজ-রক্ষীর বাড়িতে লুঠ করে পালাল দুষ্কৃতীরা

দড়ি দিয়ে পরিবারের সবাইকে বেঁধে রেখে লুঠ চালিয়ে রীতিমতো খাওয়া দাওয়া করে চম্পট দিল দুষ্কৃতীরা। শুক্রবার গভীর রাতে ডায়মন্ড হারবার ফকিরচাঁদ কলেজের পিছনে ওই কলেজের নিরাপত্তারক্ষী গোপাল বাহাদুরের বাড়িতে ঘটনাটি ঘটে।

বেঁধে রেখে লুঠ চালানো হল গোপাল বাহাদুরের বাড়িতে।—নিজস্ব চিত্র।

বেঁধে রেখে লুঠ চালানো হল গোপাল বাহাদুরের বাড়িতে।—নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ডায়মন্ড হারবার শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০১৪ ০১:৩২
Share: Save:

দড়ি দিয়ে পরিবারের সবাইকে বেঁধে রেখে লুঠ চালিয়ে রীতিমতো খাওয়া দাওয়া করে চম্পট দিল দুষ্কৃতীরা। শুক্রবার গভীর রাতে ডায়মন্ড হারবার ফকিরচাঁদ কলেজের পিছনে ওই কলেজের নিরাপত্তারক্ষী গোপাল বাহাদুরের বাড়িতে ঘটনাটি ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাতে ওই বাড়ির একটি ঘরে গোপালবাবু ও তাঁর স্ত্রী কাকলিদেবী ঘুমোচ্ছিলেন। অন্য ঘরে ঘুমোচ্ছিল তাঁর দুই ছেলে-মেয়ে। অভিযোগ, রাত ১টা নাগাদ জানলার গ্রিল ভেঙে তাঁর ছেলেমেয়েদের ঘরে ঢোকে এক দল মদ্যপ দুষ্কৃতী। গোপালবাবুর মেয়ে সোমা জানায়, সাত-আটজনের একটি দল ছিল। সবার মুখে কাপড় বাঁধা ছিল। পরনে ছিল হাফ প্যান্ট ও হাফ হাতা গেঞ্জি। আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে সোমা ও তার ভাইকে মারধর করে ঘরের টাকাপয়সা ও সোনার গয়না লুঠ করে তারা। ছেলেমেয়েদের চিৎকারে ঘুম ভেঙে যায় বাহাদুর-দম্পতির। তাঁরা পাশের ঘরে যেতেই দড়ি দিয়ে পরিবারের সকলকে বেঁধে ফেলে দুষ্কৃতীরা। এর পরে পাশের ঘরে গিয়ে আলমারি খুলে সর্বস্ব লুঠ করে। কলেজে ঢুকেও কিছু নথিপত্র তারা নষ্ট করে বলে অভিযোগ।

গোপালবাবুর ফ্রিজে রাখা ছিল আপেল, শশা, ন্যাশপাতি, দুধ ও ইলিশ মাছ ভাজা। লুঠপাট শেষ করে বারান্দায় বসে সে সবই সাবাড় করে তারা। এমনকি গোপালবাবুর সিগারেটের প্যাকেট থেকে সিগারেটও নেয়। প্রায় এক ঘণ্টা এই ভাবে জিরোনোর পরে গোপালবাবুদের একটি ঘরে আটকে রেখে বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে চম্পট দেয়। কাকলিদেবী জানান, তাঁদের চিৎকারে অন্য নিরাপত্তারক্ষীরা এসে দরজা খুলে দেন। শনিবার সকালে ওই বাড়িতে যান কলেজের অধ্যক্ষ সুবীরেশ ভট্টাচার্য। তিনি জানান, পুরো বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE