শোকার্ত পরিবার।
টেলিফোনে ভাইকে বলেছিলেন, “আমাকে গুলি করেছে, বাঁচা।” খানিক ক্ষণের মধ্যে পৌঁছেও গিয়েছিলেন ভাই। তবে শেষরক্ষা হয়নি। মারা গিয়েছেন ওই যুবক।
বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মগরাহাটের মাইতলা গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, নিহতের নাম হাসানুর রহমান মোল্লা ওরফে খোকন (২৫)। বাড়ি ওই এলাকার দক্ষিণ মামুদপুর গ্রামে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বুধবার সকালে ভাই মিজানুরকে নিয়ে ব্যবসার কাজে কলকাতায় গিয়েছিলেন হাসানুর। রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ বাড়ি ফেরেন। হাসানুররের পোশাকের ব্যবসা। পাশাপাশি, পুকুর লিজে নিয়েও ব্যবসা চালান। রাতের খাবার খেয়ে পাড়ায় লিজে নেওয়া কয়েকটি পুকুর দেখতে বের হওয়ার সময়ে তাঁর মোবাইলে একটি ফোন আসে। হাসানুর মাকে একটু পরে ফিরবেন বলে মোটর বাইক নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। আধ ঘণ্টা কেটে গেলেও বাড়ি না ফেরায় মিজানুর দাদার মোবাইলে ফোন করেন। ও প্রান্ত থেকে আর্ত চিৎকার করে হাসানুর বলে ওঠেন, “ভাই আমাকে বাঁচা। আমাকে গুলি করেছে। তাড়াতাড়ি অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে আয়।” মিজানুর মোটর বাইকে করে প্রতিবেশী কয়েক জন বন্ধুকে নিয়ে বেরিয়ে পড়েন।
নিহত হাসানুর।
প্রায় দু’কিলোমিটার দুরে মাইতলা গ্রামে গিয়ে দেখেন, হাসানুরের পেটের ডান দিকে দিয়ে গলগল করে রক্ত বেরুচ্ছে। পাশে পড়ে রয়েছে বাইক। তড়িঘড়ি জখম যুবককে পুলিশের গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় মগরাহাট ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় কলকাতায় নিয়ে যাবার পথেই মারা যান ওই যুবক।
পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীরা জানান, এলাকায় ‘পরোপকারী’ বলে পরিচিতি ছিল হাসানুরের। কেন তাঁকে খুন করা হবে, তা স্পষ্ট নয়। মগরাহাট পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি খইরুল হক লস্কর বলেন, “ওই ছেলেটির এলাকায় খুবই পরিচিতি ছিল। সকলে ভাল ছেলে হিসাবে চিনত। কেন খুন হল পুলিশ তদন্ত করে দেখুক।”
ছবি : দিলীপ নস্কর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy