Advertisement
১৯ মে ২০২৪

দিল্লি থেকে উদ্ধার হাড়োয়ার কিশোরী

সাত-আট জন লোক অত্যাচার চালাত। ‘না’ করলেই চলত মারধর। দিল্লির যৌনপল্লি জিবি রোড থেকে উদ্ধারের পরে এ অভিযোগ জানান হাড়োয়ার বছর ষোলোর নাবালিকা সাবিনা (নাম পরিবর্তিত)। দিল্লি পুলিশ, উত্তর ২৪ পরগনা পুলিশ এবং এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা দু’দিন ধরে মিলিত অভিযান চালিয়ে বুধবার ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করে। গ্রেফতার হয়েছে রোশনি নামে দিল্লির এক বাঙালি যৌনকর্মী। ঘটনায় জড়িত বাকি পাচারকারীদের খোঁজে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ অগস্ট ২০১৪ ০১:২৭
Share: Save:

সাত-আট জন লোক অত্যাচার চালাত। ‘না’ করলেই চলত মারধর। দিল্লির যৌনপল্লি জিবি রোড থেকে উদ্ধারের পরে এ অভিযোগ জানান হাড়োয়ার বছর ষোলোর নাবালিকা সাবিনা (নাম পরিবর্তিত)। দিল্লি পুলিশ, উত্তর ২৪ পরগনা পুলিশ এবং এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা দু’দিন ধরে মিলিত অভিযান চালিয়ে বুধবার ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করে। গ্রেফতার হয়েছে রোশনি নামে দিল্লির এক বাঙালি যৌনকর্মী। ঘটনায় জড়িত বাকি পাচারকারীদের খোঁজে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, কয়েক দিন আগে এক যুবক সাবিনার জামাইবাবুর মোবাইলে ফোন করে জানায়, সে সাবিনার খোঁজ জানে। মঙ্গলবার সাবিনার জামাইবাবু জেলা পুলিশের সঙ্গে দিল্লিতে পৌঁছন। মঙ্গলবার দিল্লি পুলিশ এবং ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে সঙ্গে নিয়ে তল্লাশি চালালেও সাবিনাকে পাওয়া যায়নি। বুধবার আবার জিবি রোডে গিয়ে সাবিনার খোঁজ মেলে।

দিল্লি পুলিশ সূত্রের খবর, মেয়েটি, মাসখানেক আগে হাড়োয়ায় থাকাকালীন হাসপাতালে যাওয়ার পথে তার সঙ্গে আলাপ হয় এক তরুণীর। সাবিনা এবং ওই তরুণীর মধ্যে বন্ধুত্ব গভীর হয় বলে সে জানিয়েছে। সাবিনার অভিযোগ, এক দিন সেই তরুণী তার মোবাইল থেকে নিজের ‘ভাই’ বলে এক যুবকের সঙ্গে তার পরিচয় করায়। পরে ওই যুবকের সঙ্গে সাবিনার ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠে। ২৪ জুন তাদের দেখা হয়। ওই কিশোরী জানিয়েছে, যুবকের গাড়িতে ওঠার কিছু ক্ষণ পর থেকে বাকি ঘটনা তার আর কিছু মনে নেই। মেয়েটির দাবি, পরে জ্ঞান ফিরলে সে দেখে একটি ট্রেনের ভিতরে রয়েছে। পাশে অপরিচিত দুই ব্যক্তি। তারাই তাকে দিল্লি নিয়ে যায় এবং একটি ঘরে বন্ধ করে রাখে।

এ দিকে গ্রেফতার হওয়া দিল্লির বাসিন্দা রোশনি জেরার দিল্লির পুলিশকে জানিয়েছে, যে যুবক সাবিনাকে সম্পর্ক পাতিয়ে নিয়ে আসে, তার নাম রোহিত। সে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা এবং নারী পাচারকারী। সেই সাবিনাকে দিল্লিতে এনে রোশনিকে ফোন করে জানায়, বাংলা থেকে একটি মেয়েকে নিয়ে এসেছে। বিক্রি করতে চায়। রোশনির দাবি, রোহিত ৮০ হাজার টাকায় সাবিনাকে বিক্রি করে। তবে মাত্র ২০ হাজার টাকা দেয়।

উদ্ধারের পরে দিল্লি পুলিশের এক কর্তা এবং ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা শক্তিবাহিনীর ঋষিকান্তের দাবি, রোশনিকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করে বোঝা যাচ্ছে, এই ঘটনায় একটি বড় পাচারকারী দল যুক্ত রয়েছে। রোহিতের খোঁজ চলছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

haroa kidnapped girl rescued southbengal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE