Advertisement
E-Paper

রাস্তা-জল নিয়ে দীর্ঘদিনের দাবি মিটল বনগাঁর মানুষের

পুরভোটের আগে বনগাঁ পুরসভার উদ্যোগে নির্মিত দু’টি প্রকল্পের উদ্বোধন হল সম্প্রতি। পাইপ লাইনের মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি আর্সেনিক মুক্ত পানীয় জল পৌঁছে দিতে শুক্রবার বনগাঁ শহরের সুকান্তপল্লিতে উদ্বোধন হয় একটি জলাধারের। উদ্বোধন করেন পুরসভার চেয়ারম্যান তৃণমূলের জ্যোৎস্না আঢ্য। উপস্থিত ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান কৃষ্ণা রায়, বনগাঁ মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক তথা পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলর শঙ্কর আঢ্য-সহ তৃণমূলের কাউন্সিলরেরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ মার্চ ২০১৫ ০২:২৬

পুরভোটের আগে বনগাঁ পুরসভার উদ্যোগে নির্মিত দু’টি প্রকল্পের উদ্বোধন হল সম্প্রতি।

পাইপ লাইনের মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি আর্সেনিক মুক্ত পানীয় জল পৌঁছে দিতে শুক্রবার বনগাঁ শহরের সুকান্তপল্লিতে উদ্বোধন হয় একটি জলাধারের। উদ্বোধন করেন পুরসভার চেয়ারম্যান তৃণমূলের জ্যোৎস্না আঢ্য। উপস্থিত ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান কৃষ্ণা রায়, বনগাঁ মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক তথা পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলর শঙ্কর আঢ্য-সহ তৃণমূলের কাউন্সিলরেরা। পুরসভা সূত্রে জানানো হয়েছে, জলাধারটি তৈরি করতে খরচ হয়েছে প্রায় ১ কোটি ৭৬ লক্ষ টাকা। রাজ্যের পুর দফতর ও বনগাঁ পুরসভা যৌথ ভাবে ওই ব্যয়ভার বহন করেছে। এই জলাধারের ধারণ ক্ষমতা ১০ লক্ষ ২৭ হাজার লিটার। নতুন জলাধারটি চালু হওয়ার ফলে পুরসভার ১৩, ১৫, ১৬, ১৮, ১৯, ও ২০ নম্বর ওয়ার্ডের মানুষ সরাসরি উপকৃত হবেন। এ ছাড়া ৪, ১০ ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের একাংশের মানুষেরও কাজে আসবে। বনগাঁ পুর এলাকায় পরিবারের সংখ্যা ৫৬ হাজার ৩২৭। বেশির ভাগ বাড়িতে এখনও পাইপ লাইনের মাধ্যমে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া যায়নি। পুরসভার ২২টি ওয়ার্ডেই জলের পাইপ লাইন রয়েছে। কিছু বাড়িতে জলও সরবরাহ হয়। কিন্তু জলের গতি খুবই কম। নতুন জলাধার চালু হওয়ার ফলে জলের গতিও বাড়বে বলে জ্যোৎস্নাদেবী জানিয়েছেন।

শনিবার শহরের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি মেনে পুরসভার উদ্যোগে তৈরি হওয়া বনগাঁ-চাকদহ সড়কের (যশোহর রোডের সঙ্গে সংযোগকারী) উদ্বোধন হয়। বিকল্প রাস্তা হিসাবেও এটির ব্যবহার হবে। ফলে শহরের মধ্যে যানজট কিছুটা কমবে বলে পুর কর্তৃপক্ষ মনে করছেন। স্থানীয় ট’বাজার এলাকায় ওই সংযোগ রাস্তা নির্মাণ করতে খরচ হয়েছে প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা। রাস্তাটি তৈরি করতে ব্যবসায়ীরা পুরসভাকে সহযোগিতা করেছেন। কিছু দোকানদারকে সরতে হয়েছে। তাঁদের জন্য পুরসভার পক্ষ থেকে ৪৮টি ঘরের ‘হারাধন আঢ্য স্মৃতি মার্কেট’ তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। সেখানে উচ্ছেদ হওয়া দোকানদারদের পুনর্বাসন শীঘ্রই দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জ্যোৎস্নাদেবী।

শনিবার সকালেই ওই রাস্তা দিয়ে গাড়ি চালিয়ে যশোহর রোডে উঠেছেন স্থানীয় এক বাসিন্দা। তাঁর কথায়, “আমরা কোনও দিন স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারিনি, সংযোগ রাস্তা তৈরি হতে পারে।”

roads water demand bangaon southbengal
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy