প্রথমে ৪ ডিসেম্বর জেলা নেতাদের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সে বৈঠক করবেন তিনি। ওই বৈঠকটি মূলত তৃণমূলের সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে হবে। ফাইল ছবি, পিটিআই
একুশের নির্বাচনের আগে নিজেদের ঘর গোছাতে তৎপর হল তৃণমূল। ডিসেম্বর থেকে রাজ্য জুড়ে একাধিক মিটিং মিছিলে নেতৃত্ব দেবেন স্বয়ং তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
দলীয় সূত্রে খবর, ডিসেম্বরের শুরু থেকেই দলের কাজে ঝাঁপিয়ে পড়বেন মমতা। প্রথমে ৪ ডিসেম্বর জেলা নেতাদের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সে বৈঠক করবেন তিনি। ওই বৈঠকটি মূলত তৃণমূলের সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে হওয়ার কথা। এর পর ৬ ডিসেম্বর 'সংহতি দিবসে' কলকাতায় পদযাত্রার পরিকল্পনা রয়েছে তৃণমূলনেত্রীর। ৭ ডিসেম্বর মেদিনীপুরে জনসভা করবেন মমতা। 'বাংলাকে গুজরাত হতে দেব না'— এই স্লোগানকে হাতিয়ার করে ওই জনসভা থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামতে চলেছেন বলেও তৃণমূল সূত্রে খবর। মমতার পরবর্তী জনসভা বনগাঁয়। ৯ ডিসেম্বর। ২০১৯ লোকসভা ভোটে মতুয়াদের যে ভোট বিজেপির দিকে গিয়েছে, তা পুনরুদ্ধার করতে তৃণমূলনেত্রীর ওই জনসভা বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা।
আরও পড়ুন: বঙ্গভোটের ‘মন কি বাত’! মোদীর মুখে অরবিন্দ থেকে মনোমোহন বসু
সম্প্রতি বাঁকুড়ার সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, সরকারের কাজের পাশাপাশি তিনি দলের কাজে এ বার থেকে বেশি মনোনিবেশ করবেন। সেই মতো রাজনৈতিক লড়াইয়ে পুরোদস্তুর নামছেন মমতা। রাজনৈতিক মহলের মতে, মমতার লাগাতার এই কর্মসূচি এক দিকে যেমন নিজেদের ঘর গোছানোর জন্য, অন্য দিকে তেমন বিধানসভাকে পাখির চোখ করে বিজেপি বিরোধিতার সুর এখন থেকেই বুথ স্তর পর্যন্ত চারিয়ে দেওয়াও লক্ষ্য দলনেত্রীর।
অন্য দিকে, রবিবারই বজবজে জনসভা করছেন ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ডায়মন্ড হারবার লোকসভার অন্তর্গত বিধানসভা কেন্দ্রগুলির ৭ জন বিধায়ককে নিয়ে আলাদা করে একটি বৈঠক করতে পারেন অভিষেক। শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে দলের টানাপড়েনের মধ্যে রবিবার পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়ায় মিছিল করছে তৃণমূল। ওই মিছিলে নেতৃত্ব দেবেন মন্ত্রী সুজিত বসু ও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। মহিষাদলে শুভেন্দুর অরাজনৈতিক সভার পাল্টা হিসেবে তৃণমূলের এই মিছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। উল্লেখ্য, শুভেন্দুকে নিয়ে দলে অসন্তোষের মধ্যে তৃণমূলের ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরকে নিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেন শিবপুরের বিধায়ক জটু লাহিড়ী। তাঁর বিস্ফোরক মন্তব্য, প্রশান্ত কিশোর আসার পরই দলের ক্ষতি হয়েছে।
আরও পড়ুন: নয়া কৃষি আইন শিকলমুক্তির, রাজধানীতে বিক্ষোভের মধ্যেই বার্তা প্রধানমন্ত্রীর
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy