প্রতীকী ছবি।
নরবলি দেওয়ার জন্য এক মহিলাকে অপহরণের চেষ্টার অভিযোগ উঠল আলিপুরদুয়ারের ভাটবাড়ির দক্ষিণ পাড়োকাটাতে। ওই মহিলা শারীরিক ভাবে প্রতিবন্ধী। শনিবার তাঁকে একটি ছোট গাড়ি করে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তিন ব্যক্তি। স্থানীয় বাসিন্দারা তা দেখতে পেয়ে বাধা দেন। পরে পুলিশ গিয়ে ওই তিন জনকে গ্রেফতার করে। পুলিশ সূত্রে দাবি, জেরার মুখে ধৃত তিন জন জানিয়েছেন, এক পুরোহিতের কথায় তন্ত্র সাধনার জন্য ওই মহিলাকে একটি মন্দিরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। কোনও এক ব্যক্তির উপকারের জন্য ওই মহিলাকে ‘বলি’ দেওয়ার ষড়যন্ত্র হয়েছিল বলেও একটি সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে ধৃতদের পরিচয় এবং তাঁরা ওই মহিলাকে কোন মন্দিরে নিয়ে যেতে চাইছিলেন, তার কিছুই পুলিশ তদন্তের স্বার্থে জানাতে চায়নি। তবে ধৃতদের দু’জন কোচবিহারের এবং এক জন কামাখ্যাগুড়ির বাসিন্দা। আলিপুরদুয়ার জেলার পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী বলেন, ‘‘গোটা ঘটনার তদন্ত চলছে। অপহরণের চেষ্টার আসল কারণ কী ছিল, তা তদন্ত শেষ হলেই বোঝা যাবে।’’ ওই পুরোহিতেরও খোঁজ চলছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মহিলা অবিবাহিত। ছ’ফুটের উপরে লম্বা। ছ’বোনের মধ্যে বড়। বয়স চল্লিশের কোঠায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শামুকতলা থানার দক্ষিণ পারোকাটা গ্রামে ওই মহিলার উপর এর আগেও আক্রমণ হয়েছে। তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টাও হয়েছিল। স্থানীয় বাসিন্দারাই বাধা দেন। প্রথমে তাঁদের ধারণা হয়েছিল, কিডনি বিক্রি করে দেওয়ার জন্য ওই মহিলাকে অপহরণের চেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু ওই তিন জনকে জেরা করে সন্দেহ হয়, মহিলাকে বলি দেওয়ার জন্যই তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হচ্ছিল।
ওই মহিলার এক আত্মীয় মহেন্দ্র দাস জানান, পাঁচ বোনেরই বিয়ে হয়ে গিয়েছে। ওই মহিলা বৃদ্ধ বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকেন। মহেন্দ্রবাবু বলেন, ‘‘বলি দেওয়ার জন্যই অপহরণের চেষ্টা হয়েছিল, তেমনটা হতে পারে। কিন্তু পুলিশ সব খতিয়ে দেখুক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy