প্রতীকী ছবি।
হায়দরাবাদ, কালীঘাটের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই হরিশ্চন্দ্রপুর। ২৬ বছরের পশু চিকিৎসক, ১৩-১৪ বছরের দুই নাবালিকার পরে তিন বছরের শিশু।
শনিবার সকালে বাড়িতে কাঁথা সেলাইয়ের জন্য পরিচিত এক যুবককে ডাকা হয়েছিল। তিন বছরের শিশুকন্যা ও পাঁচ বছরের শিশুপুত্রকে তখন বাড়িতে রেখে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে খিচুড়ি নিতে গিয়েছিলেন, জানিয়েছেন ওই শিশুদের মা। পুলিশ সূত্রে পরে জানানো হয়েছে, মা তাদের আরও জানান, তিনি বাড়ি ফিরে দেখেন, ফুঁপিয়ে কাঁদছে রক্তাক্ত শিশু। উধাও ওই যুবক। সন্দেহ হওয়ায় তিনি অন্য পড়শিদের ডাকেন। সকলে মিলে প্রথমে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে ভালুকা ফাঁড়িতে হাজির হয়। সেখানে ধর্ষণের অভিযোগ লেখানো হয় যুবকটির বিরুদ্ধে। পরে হরিশ্চন্দ্রপুরের আইসি সঞ্জয়কুমার দাস বলেন, ‘‘অভিযুক্ত এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। তার খোঁজে তল্লাশি চলছে। শিশুটি যৌন নিগ্রহের শিকার হয়েছে। তবে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে কি না, তা ডাক্তারি পরীক্ষায় জানা যাবে।’’
স্থানীয় সূত্রে বলা হয়েছে, পুলিশে অভিযোগ দায়ের করে অভিযুক্তের বাড়িতে চড়াও হয় পড়শিরা। তাকে না পেয়ে বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। এর মধ্যে শিশুটিকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু সেখানে স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ না থাকায় তাকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। শিশুটির মা বলেন, ‘‘ওই যুবক আমাদের পরিচিত। কাজের জন্যই ওকে ডেকেছিলাম। ওর ভরসাতেই বাচ্চা মেয়েকে রেখে গিয়েছিলাম। কিন্তু ওইটুকু সময়ের মধ্যে ও যে দুধের শিশুর উপরে এমন অত্যাচার করবে, ভাবতে পারছি না!’’
আরও পড়ুন: নিরাপদ নই নিজের ভারতে, একা প্রতিবাদী কলেজ ছাত্রী, মুচলেকা নিয়ে সরাল পুলিশ
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শিশুর বাবা ভিন্ রাজ্যে শ্রমিকের কাজ করেন। বাড়িতে তিন শিশু সন্তানকে নিয়ে থাকেন মা। এ দিন বছর চব্বিশের যুবককে (কনক রবিদাস) কাঁথা সেলাইয়ের জন্য বাড়িতে ডেকে নিয়ে আসা হয়। বছর পাঁচেকের বড় ছেলে বাইরে খেলছিল। তিন বছরের মেজো মেয়েকে রেখে কোলের মেয়েকে নিয়ে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে গিয়েছিলেন মা। তখনই ওই যুবক শিশুটিকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যুবক বিয়ের অনুষ্ঠানে কখনও বাজনা বাজায়, কখনও আইসক্রিম বিক্রি করে। পাশাপাশি কাঁথা সেলাইয়ের কাজও করে। তার বিরুদ্ধে অসামাজিক কাজে যুক্ত থাকার অভিযোগ করেছেন এলাকার অনেকেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy