Advertisement
E-Paper

বদলিতেও কারচুপি? হুগলি থেকে ৩০ জন প্রাথমিক শিক্ষককে নিজামে তলব করল সিবিআই

২০২০ সালে যে প্রাথমিক শিক্ষকদের নিয়োগ করা হয়েছিল, তাঁদের বদলিতে অনিয়মের অভিযোগ তুলে হাই কোর্টে মামলা করা হয়। সেই মামলায় মানিক ভট্টাচার্যকেও জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ অগস্ট ২০২৩ ১০:৪৭
30 people summoned by CBI for job posting scam.

কলকাতায় সিবিআইয়ের দফতর নিজাম প্যালেস। —ফাইল চিত্র।

বদলি বা পোস্টিং ‘দুর্নীতি’ মামলায় ৩০ জন প্রাথমিক শিক্ষককে তলব করল সিবিআই। সোমবার নিজাম প্যালেসে তাঁদের হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষক হিসাবে তাঁদের পোস্টিংয়ে কোনও কারচুপি হয়েছিল কি না, সেই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে এই ৩০ জনকে। পোস্টিংয়ের মামলায় এই প্রথম শিক্ষকদের তলব করা হল।

কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই পোস্টিংয়ের মামলায় সিবিআইকে তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তিনি এ-ও জানিয়েছিলেন, প্রয়োজনে ৩৪৪ জন প্রাথমিক শিক্ষককেই জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তার পরেই এই তলব।

সিবিআই সূত্রে খবর, ৩৪৪ জনকে এক বারে না ডেকে ধাপে ধাপে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। সোমবার হুগলির ৩০ জন শিক্ষককে তাই তলব করা হয়েছে। এঁদের জিজ্ঞাসাবাদের পর হাই কোর্টে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে রিপোর্ট জমা দেবে সিবিআই।

এর আগে, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে পোস্টিং ‘দুর্নীতি’ মামলায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই। সেই জিজ্ঞাসাবাদের ভিডিয়ো রেকর্ড আদালতে পেশ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। হাই কোর্টের ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যান মানিক। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ এবং তাঁর ভিডিয়ো ফুটেজ পেশের উপর স্থগিতাদেশ দেয় শীর্ষ আদালত। কিন্তু তদন্তে বাধা দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। তাই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআইকে তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন।

২০২০ সালে প্রাথমিক শিক্ষক পদে রাজ্য সরকারের যে নিয়োগ হয়েছিল, তাতেই শিক্ষকদের পোস্টিংয়ে ‘দুর্নীতি’র অভিযোগ উঠেছে। কোন স্কুলে কার পোস্টিং হবে, তাতে অনিয়মের অভিযোগ তুলে কয়েক জন শিক্ষক মামলা করেছিলেন। গত ২৫ জুলাই এ বিষয়ে সিবিআই এবং ইডিকে তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সে দিনই রাতে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে গিয়ে মানিককে জেরার নির্দেশও দিয়েছিলেন বিচারপতি। তাঁরই নির্দেশ অনুযায়ী প্রাথমিক শিক্ষকদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদের প্রক্রিয়া শুরু করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

CBI Primary Teacher Posting
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy