প্রতীকী ছবি।
করোনা ঘরবন্দি করে রেখেছে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদেরও। তবে নিজের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান-চত্বরের সেই সমবেত মুক্তির আবহ না-মিলুক, তাঁদের কাছে এসে গিয়েছে ভার্চুয়াল ক্যাম্পাস। ‘ক্যাম্পাস টোয়েন্টি ফোর’ নামে একটি অ্যাপ তৈরি করেছেন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছ’জন পড়ুয়া।
এই অ্যাপে নিজেদের মধ্যে চ্যাট বা আলোচনা করার পাশাপাশি নোট আদানপ্রদান করা যাবে। তা ছাড়াও পরীক্ষার সূচি, প্লেসমেন্টের তথ্যাদি জানতে পারবেন ছাত্রছাত্রীরা।
অ্যাপটি তৈরি করেছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র সাগ্নিক মজুমদার, দিগন্ত ভট্টাচার্য, সায়ন্তন ঘোষ ও বিষ্ণুকুমার রাই এবং ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্টের (আইইএম) ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া সৌরজিৎ বসু ও অঙ্কিতা দে। দিগন্ত জানান, ফেব্রুয়ারিতে যখন করোনা-আতঙ্ক ছড়াতে শুরু করে, তখনই এমন একটি অ্যাপ তৈরির ভাবনা আসে। এরই মধ্যে দেশ জুড়ে লকডাউন শুরু হয়। দিগন্ত বলেন, ‘‘তখন মুখোমুখি বসে কথা বলা আর সম্ভব ছিল না। অ্যাপ তৈরির জন্য প্রায় এক হাজার ঘণ্টা অনলাইনে নিজেদের মধ্যে কথা বলতে হয়েছিল।’’ শেষ পর্যন্ত অ্যাপ চালু হয় ৭ জুন। এ-পর্যন্ত অ্যাপটি ডাউনলোড করেছেন রাজ্যের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন হাজারেরও বেশি পড়ুয়া।
অ্যাপের দু’টি ভাগ। একটি ভাগে পড়ুয়ারা নিজেদের ক্যাম্পাসে সকলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পারবেন। অন্য ভাগে যোগাযোগ রাখা যাবে বিশ্বের অন্যান্য ক্যাম্পাসের সঙ্গেও। দিগন্ত জানান, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনীরা এই অ্যাপের মাধ্যমে নিজের প্রতিষ্ঠানের সকলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পারবেন। তৈরি করতে পারবেন নিজেদের কমিউনিটি।
বিশ্ব-পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পরেও যাতে এই অ্যাপের কার্যকারিতা অটুট থাকে, সেই ভাবেই এটিকে উন্নত করা হচ্ছে বলে জানান দিগন্ত। কেন্দ্র ৫৯টি চিনা অ্যাপকে এ দেশে নিষিদ্ধ করার পরে প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় অ্যাপের একটি প্রতিযোগিতা শুরু করেছেন। দিগন্ত জানালেন, ‘ক্যাম্পাস টোয়েন্টি ফোর’ তাতে যোগ দিচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy