Advertisement
E-Paper

পুজোর মাসে বেতন-বোনাস কিছুই পেলেন না কৃষ্ণনগর পুরসভার ৮০০ কর্মচারী! ‘টাকা নেই’, বলছেন পুরপ্রধান

পুজোর মাসে শহরের জঞ্জাল সাফাই, নিকাশি ব্যবস্থার রক্ষণাবেক্ষণ, জল সরবরাহ, বিদ্যুৎ বিভাগ-সহ একাধিক দফতরের প্রায় ৮০০ জন কর্মীর বেতন বন্ধের মুখে!

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২০:০৮

—ফাইল চিত্র।

পুজোর মাসে শহরের জঞ্জাল সাফাই, নিকাশি ব্যবস্থার রক্ষণাবেক্ষণ, জল সরবরাহ, বিদ্যুৎ বিভাগ-সহ একাধিক দফতরের প্রায় ৮০০ জন কর্মীর বেতন বন্ধের মুখে! অস্থায়ী পুরকর্মচারীরা বর্তমান পুরবোর্ডকে বার বার অনুরোধ করলেও, তারা একপ্রকার বেতন দিতে অসমর্থ বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমনটাই দাবি কৃষ্ণনগর পুরসভার অস্থায়ী পুরকর্মচারী সংগঠনের। পুরসভার কোষাগারে টান রয়েছে বলেই এই সমস্যা বলে দাবি পুরপ্রধানের।

পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতি বছর উৎসবের মাসে প্রথম তারিখে বেতন-সহ ৬,৫০০ টাকা বোনাস হিসেবে দেওয়া হত অস্থায়ী পুরকর্মীদের। এ বছর সেপ্টেম্বরের ১৪ তারিখ পেরিয়ে গেলেও বেতন হয়নি তাঁদের। পুরসভার একটি সূত্রে দাবি, পুরসভায় দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ চরমে উঠেছে। যার জেরেই এই পরিস্থিতি।

অস্থায়ী কর্মচারী সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রবীর দাস বলেন, ‘‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছি। আমরা শহরের নোংরা পরিষ্কার করি। কোনও দিন আমাদের উৎসবের মাসের বেতন বন্ধ হয়নি। হঠাৎ বলা হচ্ছে টাকা নেই। এখন আমরা কোথায় যাব?’’

পুরপ্রধান নরেশ দাস বলেন, ‘‘বেতন কিংবা বোনাস দিতে গেলে পুরসভার নিজস্ব তহবিল থেকে দিতে হয়। তহবিল শূন্য। তাই এই সমস্যা।’’

প্রাক্তন পুরপ্রধান রিতা দাস বলেন, ‘‘আমার সময়ে ও পূর্বতন চেয়ারম্যানদের সময়ে নিয়মিত বেতন ও উৎসব ভাতা দেওয়া হয়েছে কর্মচারীদের। চলতি বছর মার্চ মাস থেকে একদল কাউন্সিলরের অনৈতিক আচরণে বিল্ডিং প্ল্যানে অনু্মোদন বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়াও আয়ের একাধিক উৎস বন্ধ। এই জন্য এই সমস্যা। এর জন্য দায়ী দায়িত্বজ্ঞানহীন কিছু কাউন্সিলর।’’

Krishnanagar
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy