এ বার প্রাণ গেল এক বুথ লেভেল অফিসার (বিএলও)-এর। কাজের চাপে ব্রেন স্ট্রোক হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি পরিবারের।
পূর্ব বর্ধমানের ঘটনা। মৃতার নাম নমিতা হাঁসদা। পেশায় অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী। তিনি মেমারির চক বলরামপুরের ২৭৮ নম্বর বুথের বিএলও হিসাবে কাজ করছিলেন। শনিবার রাতে তিনি ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। এর পর তাঁকে কালনা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।
মৃতার স্বামী মাধব হাঁসদার দাবি, এনুমারেশন ফর্ম বিলির জন্য লাগাতার চাপ দেওয়া হচ্ছিল। কাজের চাপে মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত ছিলেন নমিতা। স্বামীর কথায়, ‘‘রোজ রোজ ওকে বলা হচ্ছিল, আরও বেশি করে ফর্ম বিলি করতে হবে! এ সব নিয়ে খুব চাপে ছিল। রাত পর্যন্ত ফর্ম বিলি করছিল ও। শনিবার কর্মরত অবস্থাতেই ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়। এর পর রাতে মৃত্যু হয় ওর।’’
জেলাশাসক আয়েশা রানি বলেন, ‘‘ঘটনার খবর পেয়েছি। যাঁরা অসুস্থ, তাঁদের বিএলও ডিউটি থেকে বাদ দেওয়া হয়। আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি।’’ ভোটকর্মী এবং বিএলও ঐক্যমঞ্চের সম্পাদক স্বপন মণ্ডল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও)-এর দফতরে চিঠি দিয়ে নমিতার পরিবারকে ৫০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
আগামী ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত এসআইআর সংক্রান্ত ‘এনুমারেশন ফর্ম’ বিলি করবে নির্বাচন কমিশন। এই পর্বের মধ্যেই বিএলও-রা যাবেন ভোটারদের বাড়িতে বাড়িতে। ২০০২ সালের ভোটার তালিকাকে ‘সূচক’ ধরে এই কাজ শুরু করেছে কমিশন। ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন তথ্য সংবলিত ফর্ম জমাও নেওয়া হবে। তার পর ৯ ডিসেম্বর প্রাথমিক খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে।