জলঙ্গি নদীর উপর পাকা সেতু হলে নিত্য দিনের যাতায়াতের যন্ত্রণা কমবে বলে মনে করেন তেহট্টের স্থানীয় বাসিন্দারা। —নিজস্ব চিত্র।
জলঙ্গি নদীর উপর একটি পাকা সেতু গড়বে রাজ্য সরকার। এ ঘোষণা করেছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। এর প্রথম ধাপ হিসাবে ডিপিআর-সহ ই-টেন্ডারের মাধ্যমে ঠিকাদার সংস্থার থেকে আবেদনপত্র চেয়ে পাঠিয়েছে রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার মাঝরাতে এ খবর জানিয়ে নেটমাধ্যমে পোস্ট করেছেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া। এই খবরে খুশির হাওয়া বইছে তেহট্টে।
রাজ্য সরকারের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ১১ নম্বর কৃষ্ণনগর-করিমপুর রাজ্য সড়কের গলাকাটা থেকে ওই সেতুটি জলঙ্গি নদী পার করবে। এর জেরে তেহট্ট এবং আড়বেতাই-বর্নিয়ার মধ্যে যোগাযোগে সুবিধা হবে।
স্থানীয়েরা জানিয়েছে, জলঙ্গির উপর সেতু তৈরি হলে পলাশিপাড়া ব্রিজ পেরোনোর ঝক্কি কমবে। যাতায়াতের দূরত্ব কমে যাবে প্রায় ১৬ কিলোমিটার। নতুন সেতুর মাধ্যমে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের সঙ্গে ১১ নম্বর রাজ্য সড়কে সংযোগ স্থাপন করা সম্ভব হবে। তাতে আপৎকালীন পরিস্থিতিতে কিংবা অতিরিক্ত যানজটের সময় বাইপাস হিসেবে ১১ নম্বর রাজ্য সড়কে ব্যবহার করা যাবে।
পাকা সেতু হলে নিত্য দিনের যাতায়াতের যন্ত্রণা কমবে বলে মনে করেন স্থানীয় সব্জি বিক্রেতা ফারহানা বিবি। প্রতি দিন সকালে তেহট্ট বাজারে সব্জি নিয়ে আসতে বাঁশের সাঁকো পেরোতে হয় তাঁকে। ফারহানা বিবি বলেন, ‘‘বাঁশের সাঁকোতে অন্য কোনও গাড়ি পাওয়া যায় না। সব্জির ঝুড়ি মাথায় নিয়ে এই বুড়ো বয়সে সাঁকো পার করতে খুব কষ্ট হয়। ব্রিজ হলে গাড়িতে করেই বাজারে চলে আসব।’’ ছেলেকে নিয়ে তেহট্ট পিডব্লিউডি মোড়ে চিকিৎসকের কাছে আসা এক দম্পতি বলেন, ‘‘ঘাটের ও পারে অটো নামিয়ে দেয়। বাকিটা পথ ঝুঁকি নিয়েই বাঁশের সাঁকো পেরোতে হয়। শুনছি পাকা ব্রিজ হবে। তাতে আমাদের সুবিধা হবে।’’
২০১৯ সালে কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী মনোনীত হওয়ার পর ভোটপ্রচারে এসে জলঙ্গির উপর একটি পাকা সেতু গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মহুয়া। তিনি বলেন, ‘‘নির্বাচনের সময় পাকা সেতুর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। তবে বেশ কিছু টেকনিক্যাল কারণে দেরি হচ্ছিল। স্থানীয় মানুষের প্রয়োজনে এই ব্রিজটি অত্যন্ত জরুরি ছিল। আমার প্রতিশ্রুতি রাখতে পেরেছি বলে খুব আনন্দিত।’’
পাকা সেতুর প্রতিশ্রুতি পূরণে মহুয়ার উদ্যোগকে সাধুবাদ দিয়েছে বিরোধী দল বিজেপি। নদিয়া উত্তরের বিজেপি সভাপতি অর্জুন বিশ্বাস বলেন, ‘‘এলাকার মানুষের ব্রিজের দাবি অনেক দিনের। এ নিয়ে বিজ্ঞপ্তি দেখলাম। সত্যিই যদি তা বাস্তবায়িত হয়, তা হলে অবশ্যই সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে ধন্যবাদ জানাব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy