দেনার দায়ে ফের আত্মহত্যার ঘটনা। ঘটনাস্থল এ বার বীরভূমের লাভপুর। বুধবার রাতে সেখানকার বাবলা গ্রাম থেকে এক প্রৌঢ় দম্পতির দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মৃতদের নাম লক্ষণ মুখোপাধ্যায় (৫২) এবং বনশ্রী মুখোপাধ্যায় (৪৮)।
প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, বেসরকারি ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়েছিলেন ওই দম্পতি। কিন্তু সময়ে ঋণের টাকা পরিশোধ করতে পারেননি। বুধবার ব্যাঙ্কের কয়েক জন কর্মী ওই দম্পতির বাড়ি যান। প্রতিবেশীদের অভিযোগ, তাঁরা ওই দম্পতিকে অপমান এবং হেনস্থা করেন। ঋণের টাকা না-মেটালে বাড়িতে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। অপমান সহ্য করতে না-পেরে সন্ধ্যা নাগাদ কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করেন ওই প্রৌঢ় এবং প্রৌঢ়া।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে। এই ঘটনার পর পুরো গ্রামে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। স্থানীয়েরা ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের ‘হেনস্থা’র বিরুদ্ধে ক্ষোভপ্রকাশ করেন। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে যথাযথ পদক্ষেপ করা হবে।
আরও পড়ুন:
সম্প্রতি কলকাতার ট্যাংরা এবং কসবায় একই পরিবারের তিন জনের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে সরগরম রাজ্য। ট্যাংরার দে পরিবারের ছোট ছেলে প্রসূন দে পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনিই তাঁর কিশোরী মেয়ে প্রিয়ম্বদা, স্ত্রী রোমি এবং বৌদি সুদেষ্ণাকে খুন করেছেন। আর কসবার ঘটনায় আড়াই বছরের শিশুসন্তানকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন সোমনাথ রায় এবং তাঁর স্ত্রী সুমিত্রা রায়। প্রাথমিক তদন্তে দেখা গিয়েছে দু’টি ঘটনার নেপথ্যেই রয়েছে বাজারে বিপুল পরিমাণ দেনার চাপ।