প্যালেস্টাইনি সশস্ত্র সংগঠন হামাসকে ‘শেষ বারের মতো’ সতর্ক করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বন্দি ইজ়রায়েলিদের দ্রুত ছাড়া না-হলে হামাসের সকলকে মরতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি। হামাসের নেতাদের দ্রুত গাজ়া ভূখণ্ড ছেড়ে চলে যাওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। বলেছেন গাজ়ার জন্য একটি ‘সুন্দর ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে’।
সমাজমাধ্যমে ট্রাম্প হামাসের উদ্দেশে লেখেন, “এখনই সব বন্দিকে মুক্তি দাও। পরে নয়, এখনই। যাদের তোমরা মেরেছ, সেই সব বন্দির দেহও ফেরত দাও। কেবল অসুস্থ লোকেরাই দেহ আটকে রাখে। আর তোমরা তেমনই মানুষ।” একই সঙ্গে ট্রাম্প লেখেন, “আমি যা বললাম, তা যদি করা না-হয়, তবে হামাসের কোনও সদস্য নিরাপদে থাকবে না।”
প্রসঙ্গত, এর আগেও হামাসকে দ্রুত বন্দি প্রত্যর্পণ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন ট্রাম্প। বলেছিলেন, কথার খেলাপ হলে ‘নরক নেমে আসবে’। তবে ট্রাম্পের এ বারের হুঁশিয়ারিকে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, ট্রাম্প নিজেই এটিকে ‘শেষ সতর্কতা’ বলে অভিহিত করেছেন। তা ছাড়া একাধিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, দোহায় হামাসের সঙ্গে ‘গোপন’ বৈঠকে বসেছেন হামাস নেতৃত্ব। ১৯৯৭ সাল থেকে হামাসকে ‘বিদেশি সন্ত্রাসবাদী সংগঠন’-এর তকমা দেওয়া আমেরিকা কেন প্যালেস্টাইনি সশস্ত্র সংগঠনটির সঙ্গে আলোচনায় বসল, তা নিয়ে যেমন কৌতূহল তৈরি হয়েছে, তেমনই এই সময়েই ট্রাম্প হামাসকে কেন মেরে ফেলার হুঁশিয়ারি দিলেন, তা নিয়েও আলোচনা শুরু হয়েছে।
গত বুধবারই গাজ়া দখলের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ট্রাম্প। তবে তিনি এ-ও জানান, গাজ়া ভূখণ্ড থেকে প্যালেস্টাইনিদের স্থায়ী ভাবে প্রতিবেশী দেশগুলিতে পুনর্বাসন করার কথা ভাবা হচ্ছে। অনেকের মতে, গাজ়ায় বড়সড় হামলার পরিকল্পনা করতে পারে আমেরিকা।