বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে ঢাকা-ইসলামাবাদ সম্পর্ক অনেকটাই মসৃণ হয়েছে। আগামী মাসে বাংলাদেশ সফরে যেতে পারেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী তথা বিদেশমন্ত্রী ইসাক দার। বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ সূত্রে খবর, এপ্রিলের দ্বিতীয়ার্ধে ঢাকা সফরে যেতে পারেন তিনি। সম্ভাব্য ওই সফর নিয়ে আলোচনার জন্য বাংলাদেশে পৌঁছেছেন পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব (এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল) ইমরান আহমেদ সিদ্দিক। বুধবার অন্তর্বর্তী সরকারের বিদেশসচিব মুহাম্মদ জসীমউদ্দিনের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। ওই সময়ে অন্তর্বর্তী সরকারের বিদেশ উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের জন্য ইসাকের পাঠানো একটি চিঠি বাংলাদেশের বিদেশসচিবের হাতে তুলে দেন পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব।
‘প্রথম আলো’ জানিয়েছে, বুধবারের বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য নিয়ে আলোচনা হয়েছে দুই আমলার। পাশাপাশি, পর্যটন ক্ষেত্রে সহযোগিতা, দু’দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে যোগাযোগ এবং সাংস্কৃতিক সম্পর্ক নিয়ে কথা হয়েছে তাঁদের। আলোচনা হয়েছে রোহিঙ্গা প্রসঙ্গেও। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মঞ্চে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বিষয়েও দুই দেশের আমলা স্তরের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। পরে ঢাকায় পাকিস্তানি হাই কমিশন থেকে জানানো হয়, দ্বিপাক্ষিক এবং বহুপাক্ষিক সহযোগিতার বিষয়ে মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারের একাধিক শীর্ষ আধিকারিকের সঙ্গে বৈঠক করেছেন পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব।
আরও পড়ুন:
শেষ হাসিনার সরকারের পতনের পরে পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক অনেকটাই উন্নত হয়েছে। গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে। ১৯৭১ সালে পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন হয় সাবেক পূর্ব পাকিস্তান। তৈরি হয় স্বাধীন বাংলাদেশ। তার পর থেকে দীর্ঘ সময় ধরে পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি বাণিজ্য প্রায় বন্ধই ছিল। সম্প্রতি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার দু’দেশের মধ্যে ফের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চালু করতে পদক্ষেপ করেছে ইউনূসের প্রশাসন। পাকিস্তানের কাছ থেকে ৫০ হাজার টন চাল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। পাক জাহাজ দু’দফায় সেই চাল পৌঁছে দেবে বাংলাদেশের বন্দরে। বুধবার তার মধ্যে একটি জাহাজ পাকিস্তান থেকে এসে পৌঁছেছে বাংলাদেশে। পাকিস্তানের কাসিম বন্দর থেকে চালবোঝাই একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে।