সংবাদ সংস্থা রয়টার্স হোয়াইট হাউসের একটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, আপাতত ইউক্রেনকে গোয়েন্দা-তথ্য সরবরাহ করার সিদ্ধান্ত স্থগিত রেখেছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। তবে ওই সূত্রটির দাবি, যুদ্ধবিরতি নিয়ে ট্রাম্পের প্রস্তাব মেনে ইউক্রেন নমনীয় অবস্থান নিলে এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে।
গত মঙ্গলবার ইউক্রেনকে অস্ত্র-সাহায্য দেওয়া বন্ধ করার কথা জানিয়েছে আমেরিকা। হোয়াইট হাউস থেকে সরকারি ভাবে এর কারণ জানানো না-হলেও মার্কিন প্রশাসনের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, আমেরিকা চায় রাশিয়ার সঙ্গে সংঘর্ষবিরতি চুক্তি নিয়ে আলোচনায় বসতে রাজি হোক ইউক্রেন। বস্তুত, হোয়াইট হাউসের বৈঠকেও জ়েলেনস্কিকে সমঝোতার পরামর্শ দেন ট্রাম্প এবং ভান্স। কিন্তু জ়েলেনস্কি তা মানতে পারেননি।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্স আরও একটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে আমেরিকার তরফ থেকে ‘আর কোনও সাহায্য’ পাবে না ইউক্রেন। আমেরিকা ইউক্রেনকে গোয়েন্দা-তথ্য সরবরাহ না-করলে রুশ আক্রমণ প্রতিহত করা জ়েলেনস্কিদের কাছে প্রায় অসম্ভব হয়ে যাবে বলে মনে করছেন অনেকে। তা ছাড়া গোপন খবরের ভিত্তিতে রাশিয়ার কোনও লক্ষ্যবস্তুতে ড্রোন আক্রমণও আর চালাতে পারবে না ইউক্রেন। সে ক্ষেত্রে যুদ্ধ ক্রমশ একমুখী হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছেন কেউ কেউ। বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি, জ়েলেনস্কিকে চাপে ফেলতেই এই কৌশল নিচ্ছেন ট্রাম্প।
আরও পড়ুন:
গত শুক্রবার রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়েই হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে বেনজির সংঘাতে জড়িয়েছিলেন জ়েলেনস্কি। সেই তর্কাতর্কির ঘটনায় তিনি ‘অনুতপ্ত’ বলে সম্প্রতি জানিয়েছেন জ়েলেনস্কি! ভবিষ্যতে আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করারও ইঙ্গিত দিয়েছেন। আমেরিকার সহায়তা বন্ধ হওয়ায় চাপের মুখে পড়া জ়েলেনস্কি ক্রমশ নমনীয় হচ্ছেন কি না, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা শুরু হয়েছে।