E-Paper

৩৩ বছর স্কুল চলছে বিনা অনুমোদনেই

ওই স্কুলেই চাকরি করতেন মামলাকারী শিক্ষিকা ধারা বন্দ্যোপাধ্যায়। সব পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনে এ দিন বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন, ওই স্কুল সম্পর্কে মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে সম্পূর্ণ তথ্য কোর্টে পেশ করতে হবে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৭:৪৩
SCHOOL.

—প্রতীকী ছবি।

বকেয়া পেনশন প্রাপ্তির আর্জি নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা। সেই মামলায় শুক্রবার উঠে এসেছে নতুন তথ্য। জানা গিয়েছে, স্থায়ী সরকারি অনুমোদন ছাড়াই বেহালায় ৩৩ বছর ধরে চলছে সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত একটি স্কুল! যা শুনে রীতিমতো বিস্ময় প্রকাশ করেছেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।

প্রসঙ্গত, ওই স্কুলেই চাকরি করতেন মামলাকারী শিক্ষিকা ধারা বন্দ্যোপাধ্যায়। সব পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনে এ দিন বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন, ওই স্কুল সম্পর্কে মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে সম্পূর্ণ তথ্য কোর্টে পেশ করতে হবে। ১২ ডিসেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি।

এ দিন বিচারপতির প্রশ্ন, ‘‘৩৩ বছর ধরে স্থায়ী অনুমোদন ছাড়া কী ভাবে চলছে স্কুল? ছাত্রছাত্রীরা বিনা অনুমোদনের স্কুলে পড়ছে কী ভাবে? স্কুলের রেজিস্ট্রেশন কী ভাবে বহাল রেখেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ?’’ এই ঘটনায় পর্ষদ এবং জেলা স্কুল পরিদর্শকের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি। তিনি বলেছেন, ‘‘কী ভাবে এত দায়িত্বহীন হল পর্ষদ? জেলা স্কুল পরিদর্শকেরা কী করছিলেন? তাঁদের কাজ কি শুধু বদলি নজরদারি করা?’’

বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, এত বছরে তো হাজার হাজার পড়ুয়া ওই স্কুল থেকে মাধ্যমিক পাশ করেছে। তারা যদি উচ্চ শিক্ষার জন্য বাইরে পড়তে যায় আর সেখানকার কর্তৃপক্ষ যদি অনুমোদন সংক্রান্ত তথ্য অনুসন্ধান করতে শুরু করেন তা হলে তো পড়ুয়ারা বিপদে পড়বে!

মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী অবশ্য জানান, এমন আরও অনেক স্কুল আছে। নিয়ম অনুযায়ী, প্রথমে অস্থায়ী অনুমোদন দেওয়া হয় এবং পরবর্তী ক্ষেত্রে স্কুলের আবেদনের ভিত্তিতে স্থায়ী অনুমোদন দেওয়া হয়। এই স্কুল হয়তো সেটা করেনি। তবে অনুমোদনের জটিলতার জন্য পেনশন আটকে থাকতে পারে না বলেও পর্ষদ শুনানিতে জানিয়েছে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Behala Teacher school

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy