দক্ষিণ কলকাতার একটি অভিজাত আবাসনের ফ্ল্যাট থেকে অন্তত ২০ কোটি টাকা উদ্ধার করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এই ফ্ল্যাটটি অর্পিতা মুখোপাধ্যায় নামে এক মহিলার বলে জানিয়েছে তারা। ইডির দাবি, অর্পিতা রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ। যদিও এই দাবির সত্যতা আনন্দবাজার অনলাইন যাচাই করে দেখেনি।তদন্তকারীদের আরও দাবি, ‘পার্থ-ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতার বাড়ি থেকে ২০টি মোবাইল ফোনও উদ্ধার হয়েছে। পাওয়া গিয়েছে সোনা ও বিদেশি মুদ্রাও।
শুক্রবার রাত ৮টা ১০ নাগাদ ইডির টুইটার হ্যান্ডেল থেকে একটি টুইট করা হয়। টুইটে লেখা হয়, ‘পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে বেশ কয়েকটি জায়গায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে।’ এর সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে নগদ টাকার ছবি পোস্ট করা হয়েছে ইডির টুইটার হ্যান্ডেল থেকে।
ইডি সূত্রে দাবি, টালিগঞ্জের কাছে হরিদেবপুরের একটি আবাসনে অর্পিতার ফ্ল্যাট। সেখানে তল্লাশি চালানো হয়েছিল। সেখান থেকে উদ্ধার হয়েছে অন্তত ২০ কোটি নগদ টাকা। অর্পিতার বাড়িতে চারটি নোট গোনার মেশিন নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ব্যাঙ্ক আধিকারিকদের ডেকে ওই মেশিন ব্যবহার করে উদ্ধার হওয়া অর্থ গোনা হচ্ছে বলে দাবি তদন্তকারীদের।
ED is carrying out search operations at various premises linked to recruitment scam in the West Bengal School Service Commission and West Bengal Primary Education Board. pic.twitter.com/i4dP2SAeGG
— ED (@dir_ed) July 22, 2022
প্রসঙ্গত, শুক্রবার সকাল থেকেই মন্ত্রী পার্থের বাড়ি-সহ ১৩টি জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি। সন্ধ্যায় ইডি টুইট করে জানায়, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে তদন্তের প্রেক্ষিতেই শুক্রবারের তল্লাশি অভিযান। তালিকায় রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেখলিগঞ্জের বাড়ি-সহ এসএসসির উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন আহ্বায়ক শান্তিপ্রসাদ সিংহ, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের বাড়ি রয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্য, পর্ষদ সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচীর বাড়িতেও অভিযান চালায় ইডি।
পার্থের বাড়িতে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ গিয়েছেন ইডি আধিকারিকেরা। শুক্রবার গভীর রাত পর্যন্ত পার্থের বাড়ি থেকে বেরোননি তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, ইডির তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন পার্থ অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে ভবানীপুুর থানার পুলিশের সঙ্গে এসএসকেএমের তিন জন চিকিৎসক এসেছিলেন তাঁর বাড়িতে। এক জন অস্থি বিশেষজ্ঞ, এক জন মেডিসিন এবং এক জন কার্ডিয়োর চিকিৎসক ছিলেন। পরে বিকেল ৪টে নাগাদ মন্ত্রীর বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান তাঁরা। পার্থের এক নিরাপত্তারক্ষী জানান, মন্ত্রীর বাড়ির নীচে গভীর রাত পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে। তবে বাড়ির বাইরে রয়েছে নেতাজি নগর থানার পুলিশ।