বোলপুরে জরুরি কাজ সেরে ছোটমেয়ের বাড়ি যাওয়ার কথা ছিল সুভাষ দে-র। নানুরের বাসাপাড়ার নিহত সেই সিপিএমের শাখা কমিটির প্রাক্তন সদস্যের ছোটমেয়ে শুচিস্মিতা দে বলছেন, ‘‘কিন্তু জরুরি প্রয়োজনে বোলপুর থেকে ইলামবাজার যেতে হবে বলে ফোনে জানিয়েছিল বাবা।’’ তাঁর আক্ষেপ, ‘‘কেন যে সে দিন জোর করলাম না। তা হলে হয়তো বাবাকে মরতে হতো না।’’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকাল ৮টা নাগাদ মোটরবাইকে বোলপুরে বিমা অফিসে গিয়েছিলেন সুভাষবাবু। শনিবার নানুরের বঙ্গছত্র গ্রামের কাছে তাঁর মোটরবাইকের হদিস মেলে। সোমবার দুবরাজপুর থানা এলাকা থেকে উদ্ধার হয় তাঁর খণ্ডবিখণ্ড মৃতদেহ।
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, সুভাষবাবুর স্ত্রী মিনতিদেবী এবং দুই মেয়ে বর্তমান। বড়মেয়ে তুয়াসা সিংহের বিয়ে হয়েছে লাভপুরের ভালাসে। ময়ূরেশ্বরের কোটাসুরে শ্বশুরবাড়ি ছোটমেয়ে শুচিস্মিতার। সুভাষবাবু এক সময় সিপিএমের বাসাপাড়া শাখা কমিটির সদস্য ছিলেন। সিপিএম নিয়ন্ত্রিত বাসাপাড়া মুটিয়া-মজদুর ইউনিয়নের সম্পাদকও ছিলেন। ২০০০ সালে নানুরের সূঁচপুর গণহত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত হিসেবে কিছু দিন জেলও খেটেছেন। পরে উচ্চ আদালত থেকে বেকসুর খালাস পান।