নিজের জমিতে চাষের কাজ করছিলেন এক কৃষক। সেই অবস্থায় বাংলার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে বুধবার জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোন জেলা, কোন সীমান্ত, কারা তুলে নিয়ে গিয়েছে, সে ব্যাপারে স্পষ্ট করে কোনও তথ্য মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ্যে বলেননি। বুধবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক ছিল। সেই বৈঠকের পরে সাংবাদিক সম্মেলনে একাধিক সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তার পর প্রশ্নোত্তর পর্বে এই ঘটনা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে দৃশ্যতই উদ্বিগ্ন দেখিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে।
মমতা বলেন, ‘‘আমাদের এক জনকে বর্ডার থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যদিও তিনি তাঁর নিজের জমিতে চাষ করছিলেন। আমি সিএসকে (মুখ্যসচিব) বলব প্রপার (যথাযথ) জায়গায় কথা বলতে। এ নিয়ে আমি আর অন্য কিছু বলতে চাই না।’’ এ নিয়ে সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রেও সংবেদনশীল হওয়ার বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘‘সবেতে টিআরপি দেখবেন না!’’
আরও পড়ুন:
কারা ওই ব্যক্তিকে চিনিয়ে দিয়েছেন, সে ব্যাপারেও রাজ্য সরকারের কাছে তথ্য রয়েছে বলে দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বলেন, ‘‘কে দেশি আর কে বিদেশি তা চিহ্নিত করার অধিকার কোনও পার্টির নেই। তাঁকে নিজের জমি থেকে তুলে নিয়ে গেছে। তুলে দিয়েছে কারা? খোঁজ নিন ভাল করে। আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে। সব ঘরশত্রু বিভীষণ।’’
ভারত-পাক সংঘাতের আবহে বাংলার সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিকেও সংবেদনশীল বলে মনে করছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার। সতর্কও রয়েছে প্রশাসন। চলছে নজরদারিও। নয়াদিল্লি-ইসলামাবাদ কূটনৈতিক এবং সামরিক সংঘাতের মধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ পাকিস্তান ও নেপালের সীমান্ত রয়েছে এমন ১০টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে গত সপ্তাহে বৈঠক করেছিলেন। সেই বৈঠকে ছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতাও।