Advertisement
E-Paper

দিলীপ, লকেট নিয়ে কুকথা

কুকথায় কেউ কম যাচ্ছে না। প্রতিযোগিতা যেন ক্রমেই বাড়ছে।রামনবমীর মিছিলে অস্ত্রের আস্ফালনের বিরুদ্ধে যাঁরা সমালোচনা করছেন, তাঁদের লাথি মেরে বাংলাদেশ পাঠিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ মে ২০১৭ ০৩:৫৯

কুকথায় কেউ কম যাচ্ছে না। প্রতিযোগিতা যেন ক্রমেই বাড়ছে।

রামনবমীর মিছিলে অস্ত্রের আস্ফালনের বিরুদ্ধে যাঁরা সমালোচনা করছেন, তাঁদের লাথি মেরে বাংলাদেশ পাঠিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ করে অশালীন মন্তব্য করেন বিজেপি নেতা শ্যামাপদ মণ্ডল। এ বার কুকথা শোনা গেল এক তৃণমূল নেতার মুখে। দিলীপবাবু এবং বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়কে আক্রমণ করতে গিয়ে শালীনতার মাত্রা ছাড়ালেন বাঁকুড়ার খাতড়া পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি জয়ন্ত মিত্র।

মঙ্গলবার খাতড়ার এটিএম গ্রাউন্ডে হিড়বাঁধ, রানিবাঁধ ও খাতড়া ব্লক তৃণমূলের সম্মেলন ছিল। বক্তৃতা দিতে উঠে বাঁকুড়া জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক জয়ন্তবাবু বলেন, “খড়্গপুরের ওয়াগন ব্রেকার দিলীপ ঘোষ। আর এক জন কে যেন আছেন লকেট না পকেট, তাঁর সঙ্গী। উনি (লকেট) আবার এমন পোশাক পরেন, তা কি মায়েরা পরতে পারেন? জঙ্গলমহলে ওঁরা এলে এখানকার মায়েরা ঝাঁটা মেরে ওদের বিদায় করে দেবে।” সেখানেই থেমে থাকেননি জয়ন্ত। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানিকে নিয়েও কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন। বলেছেন, ‘‘স্মৃতি ইরানি বৌমাও হতে পারেননি, শাশুড়িও হতে পারেননি।”

তৃণমূল সূত্রেই খবর, জয়ন্তবাবু যখন এই মন্তব্য করছেন, মঞ্চে তখন উপস্থিত রাজ্যের সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তালড্যাংরার বিধায়ক সমীর চক্রবর্তী। জয়ন্তবাবুর কুরুচিকর মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে জেলা তৃণমূলের অন্দরেই। অনেকেই বলছেন, স্রেফ প্রচারের আলো পাওয়ার জন্যই উনি এই ধরনের কথা বলছেন। জলঘোলা যে হচ্ছে, তা টের পেয়ে পরে জয়ন্তবাবু দাবি করেন, ‘‘আমার বক্তব্যকে সংবাদ মাধ্যম বিকৃত করছে।” সমীরবাবু আবার বলেন, “উনি কখন ওই কথা বলেছেন জানি না। আমি বা রাজীব মঞ্চে থাকাকালীন এই ধরনের কোনও মন্তব্য কেউ করেননি।’’

ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন বিজেপি-র রাজ্য নেতা, বাঁকুড়ার বাসিন্দা সুভাষ সরকার। তাঁর কথায়, ‘‘এই কথার প্রতিক্রিয়া দিতে আমাদের রুচিতে বাধে। ওঁদের সংস্কৃতির প্রতিফলন ভাষায় প্রকাশ পেয়েছে। মানুষ যত বিজেপির কাছে আসবে, এই ধরনের আক্রমণ তত বাড়বে। তবে, এতে আখেরে বিজেপি-র সুবিধাই হবে।’’ দলের জেলা সভাপতি বিবেকানন্দ পাত্রের বক্তব্য, ‘‘তৃণমূল অপসংস্কৃতির ধারক ও বাহক বলে ফের প্রমাণ হল।’’

TMC BJP Locket Chatterjee Dilip Ghosh
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy