হেস্টিংস থানা এলাকায় নিগ্রহের শিকার হলেন কর্তব্যরত এক পুলিশকর্মী। বেপরোয়া বাইক আটকাতে গিয়ে ওই ট্র্যাফিক পুলিশকর্মীকে হেনস্থার পাশাপাশি ধাক্কাও মারা হয় বলে অভিযোগ। শুধু এই ঘটনাটি নয়, সপ্তাহখানেক আগে একই জায়গায় এক
গাড়িচালককে হেনস্থার অভিযোগ উঠেছিল এক বাইকচালকের বিরুদ্ধে। দু’টি ঘটনাতেই হেস্টিংস থানায় পৃথক মামলা করা হয়েছে। একই এলাকায় পুলিশকর্মীদের নিগ্রহের পাশাপাশি, সাধারণ চালকদের আক্রান্ত হওয়ার অভিযোগ ওঠায় নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে লালবাজার।
পুলিশ সূত্রের খবর, মঙ্গলবার বিকেলে হেস্টিংস মোড়ে ডিউটিতে ছিলেন বিদ্যাসাগর ট্র্যাফিক গার্ডের কর্মী প্রকাশ ঘোষ। সেই সময়ে এক বাইকচালককে বিনা হেলমেটে ও বেপরোয়া গতিতে আসতে দেখেন তিনি। সেই বাইকচালককে থামান প্রকাশ। চালকের কাছে বাইকের কাগজপত্রের পাশাপাশি লাইসেন্স আছে কিনা, তা জানতে চান তিনি। তখনই অভিযুক্ত বাইকচালক কর্তব্যরত ওই পুলিশকর্মীর সঙ্গে তর্কাতর্কি জুড়ে দেন, তাঁকে ধাক্কাও মারেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে চলে আসেন অন্য পুলিশকর্মীরা। যদিও তার আগেই ঘটনাস্থলে বাইক ফেলে চম্পট দেন ওই যুবক। ঘণ্টাখানেক পরে এক ব্যক্তি ঘটনাস্থলে এসে অভিযুক্ত যুবককে নিজের ছেলে বলে দাবি করেন। তাঁর বাইক কেন আটকে রাখা হয়েছে, সেই প্রশ্ন তুলে তিনিও পুলিশকে হেনস্থা করেন বলে অভিযোগ। তবে
আক্রান্ত ওই পুলিশকর্মী বাইকটিকে আটক করার পাশাপাশি, হেস্টিংস থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
প্রসঙ্গত, এই ঘটনার এক সপ্তাহ আগে, গত ৭ এপ্রিল সকালে হেস্টিংস মোড়ে আক্রান্ত হয়েছিলেন এক গাড়িচালকও। বেপরোয়া গতিতে একটি বাইক এসে ওই গাড়িতে ধাক্কা মারলে তার প্রতিবাদ করেন চালক। তখন অভিযুক্ত বাইকচালক ওই গাড়িটির চালককে মারধর করেন বলে অভিযোগ। জোকার বাসিন্দা আক্রান্ত গাড়িচালক হেস্টিংস থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
পুলিশ সূত্রের খবর, ওই দু’টি অভিযোগের ভিত্তিতে পৃথক দু’টি মামলা রুজু হয়েছে হেস্টিংস থানায়। সেই সঙ্গে একই এলাকায় পর পর এমন ঘটনা ঘটতে থাকায় সেখানে পুলিশের টহলদারি দলকে নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশও দিয়েছে লালবাজার।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)